অরূপ বসাক, মালবাজার: ধনতেরসে ভিড় উপচে পড়েছে দোকানে। একদিকে যখন আকাশছোঁয়া সোনার দাম, ঠিক তখনই ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন কাঁসা-পিতলের দোকানগুলিতে। বিগত কয়েক বছর ধরেই ধনতেরসের দিন ভিড় অনেকটাই বেশি হচ্ছে। তবে সোনা-রুপোর দোকান ছেড়ে ক্রেতাদের ভিড় বেশি পিতল ও কাঁসার দোকানে। অন্যদিকে, ধনতেরস উপলক্ষে বহু মানুষই কিনছেন ঝাঁটা।
ধনতেরসের দিন দোকানগুলিতে ক্রেতা সমাগমের কারণে অনেকেই আগে থেকে জিনিসপত্র বাছাই করে রাখেন। অনেকেই ধনতেরসের দিন জিনিসের দাম মিটিয়ে সোনা রুপো বা বাসন কিনে নিয়ে যান। মালবাজার শহরের স্টেশন রোড, বাজার রোড, জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দোকানগুলিতে এদিন সকাল থেকেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
অনেককেই পিতলের মূর্তি কিনতে দেখা গিয়েছে। তবে সোনার দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় ধনতেরস উপলক্ষে অনেকেই কাঁসা এবং পিতল-সহ বিভিন্ন বাসন কিনছেন। শহরের বাসন ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিৎ বণিক বলেন, “কাঁসা, পিতল সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রি দোকানে সাজানো রয়েছে। ক্রেতারা আসছেন পছন্দ করে জিনিস কিনছেন।” শহরের এক সোনার দোকানের ম্যানেজার রাকেশ বৈরাগী বলেন, “অন্যবারের তুলনায় সোনার দাম অনেক বেশি থাকায় ক্রেতারা কম আসছেন। তবে সোনা ও রুপোর চাহিদা আছে ক্রেতাদের মধ্যে। মোটের ওপরে ক্রেতা সমাগম বেশ ভালোই।” সাধারণ মানুষের দাবি, সোনার দাম আকাশছোয়া হওয়ায় বাজেট কাটছাঁট করতে হয়েছে। সোনার গয়না কিনলেও অনেক কম পরিমানে কিনতে হবে বলে তাঁদের দাবি।
শনিবার ধনতেরস। দীপাবলীর প্রাক্কালে ধনতেরস পালন হয়। প্রসঙ্গত, ধনতেরসের দিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের ঘরে যান এবং তাঁদের ইচ্ছা পূরণ করেন বলে বিশ্বাস। মূলত, অবাঙালিদের মধ্যে ধনতেরসের প্রচলন থাকলেও বর্তমানে সবার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব। সকলেই এদিন দামি ধাতু কেনেন। সম্পদের দেবতা কুবেরও এদিনই পুজিত হন।