কালীপুজো এবং দীপাবলিতে নিষিদ্ধ বাজি রুখতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চলছে ধরপাকড়। সেই আবহেই এ বার ধর্মতলায় ৬০০ কেজি বেআইনি বাজিসমেত ধরা পড়লেন এক যুবক। কালীপুজোর আগে শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার ধর্মতলায়৷
শনিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধর্মতলার মেয়ো রোডে হানা দিয়েছিল পুলিশ। ধর্মতলা বাস টার্মিনাসের কাছে কলকাতা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সামনে যেতেই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজিসমেত ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ জিশান৷ ২৩ বছর বয়সি ওই যুবকের বাড়ি তোপসিয়া থানা এলাকায়৷ তাঁর কাছ থেকে ৬০০ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের কাছে তিনটি নাইলনের বস্তা এবং ২৫টি বড় বাক্স ছিল৷ সেগুলি খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে থরে থরে সাজানো রয়েছে নিষিদ্ধ বাজি! শেল, কালিপটকা থেকে শুরু করে চকলেট বোমা— নানা ধরনের শব্দবাজি মেলে তাঁর কাছ থেকে৷ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই বাজিগুলি কলকাতা থেকে আসানসোলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ধৃতের বিরুদ্ধে বাজিসংক্রান্ত আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬১(২) এবং ২২৩ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেআইনি বাজির ব্যবহার রুখতে গত দিন কয়েক ধরেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চলছে। বৃহস্পতিবারই জোড়াবাগান থানা এলাকা থেকে সুরজ সিংহ নামে এক তরুণকে ধরেছে পুলিশ। তাঁর থেকে ১০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তারাতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দু’জনকে। তাঁদের কাছ থেকে ২৯ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। তারাতলার আর এক জায়গা থেকে ৩০ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পর্ণশ্রীতেও ১০৩ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ৪৫৬৭.১৮ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। এ নিয়ে কলকাতার বিভিন্ন থানায় ৪৩টি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।