নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় বছর ঘুরতে চলেছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়েছে জগতপ্রকাশ নাড্ডার। নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। যদিও এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি রয়েছে বিজেপির। নাড্ডার ক্ষেত্রে তা লঙ্খন করা হচ্ছে বলে জাতীয় পর্যায়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। একইভাবে ৭৫ বছর পেরলেই পার্টি কিংবা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা যাবে না। এহেন কঠোর নিয়মের ‘বলি’ হয়েছেন লালকৃষ্ণ আদবানি-মুরলি মনোহর যোশীর মতো দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৫ বছর পূর্ণ করেছেন। তবে দল কিংবা সরকারের মনোভাবে স্পষ্ট, গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘ক্রিজ’ ছাড়বেন না। বরং ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তির লক্ষ্যে এখন থেকে গুচ্ছ সরকারি প্রকল্প হাতে নিচ্ছেন তিনি। স্বভাবতই খুব শীঘ্রই যে তিনি চেয়ার ছাড়বেন না, তা এক প্রকার নিশ্চিত।
জাতীয় পর্যায়ে এই দুই ইস্যু নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সঙ্গে মতপার্থক্য ক্রমেই চওড়া হচ্ছে পদ্ম নেতাদের। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা দর্পের সাথে বলেছিলেন,
বিজেপি এখন সাবালক হয়ে গিয়েছে। আরএসএস’র আর প্রয়োজন নেই। বিষয়টি নিয়ে সঙ্ঘের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। ভোটে তার ফল সরাসরি পেয়েছিলেন মোদি-শাহরা। সরকার গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল বিজেপি। শরিক নির্ভর সরকার গড়তে বাধ্য হয়েছিল বিজেপি। ‘আপ কি বার ৪০০ পার’ করার স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে সেই সঙ্ঘের সঙ্গে তালমিলের অভাবে নয়া সর্বভারতীয় সভাপতি
নাম চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। দীপাবলির পর ফের বিজেপি ও সঙ্ঘের সেতুবন্ধনকারী নাগপুরের শীর্ষ নেতা বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে বসানো হবে, সেই প্রস্তুতি খানিক সেরে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এক্ষেত্রেও সঙ্ঘের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এখন দেখার, জোড়া মাথা ব্যাথার উপশম মেলে কি না!