• জমিদারি রীতি মেনে ঝুমুরকালীর আরাধনা, জঙ্গলে পাওয়া মূর্তিতেই হয় পুজো
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইটাহার: থানা থেকে পুজোর ডালা এলে তবেই শুরু হয় শতাব্দী প্রাচীন ঝুমুরকালীর পুজো। তৎকালীন জমিদার স্বপ্নাদেশ পেয়ে ইটাহারের পোরষার জঙ্গলে সূচনা করেন এই পুজো। খোলা আকাশের নীচে জঙ্গলে কুড়িয়ে পাওয়া পাথরের মূর্তিতে হয় মায়ের আরাধনা। বর্তমানে সাতপুরুষ ধরে সেই পুজো করে আসছেন ইটাহারের ঘোষ পরিবার। 

    কথিত আছে, তৎকালীন জমিদার ভূপালচন্দ্র রায় চৌধুরীর একটি হাতি হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরে ঝুমুরকালীর স্বপ্নাদেশে জমিদার জানতে পারেন, হাতিটি পোরষা এলাকায় জঙ্গলে রয়েছে। বাঘ, সিংহের ভয় সত্ত্বেও প্রজাদের নিয়ে জমিদার জঙ্গলে যান। এবং হাতিটিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। হাতিটিকে পেলেও জমিদার নাকি ঝুমুরকালীর পুজো দেননি। সেই রাতে আবার ঝুমুরকালীর স্বপ্নাদেশে জমিদার জঙ্গলে এসে একটি ছোট পাথরের মূর্তি কুড়িয়ে পান। তারপর থেকে ঘন জঙ্গলের ভিতরে শুরু হয় ঝুমুরকালীর পুজো। পাশাপাশি মায়ের নামে সেখানে ৬ শতক জমি দান করে পরবর্তীতে পুজোর দায়িত্ব তুলে দেন পোরষার বাসিন্দা স্বর্গীয় মঙ্গল ঘোষকে। তারপর থেকে মঙ্গলের বংশধরেরা জমিদারি রীতি মেনে পুজো করে আসছিলেন। বর্তমানে ভোলা ঘোষ, গণেশ ঘোষ, গোরখ ঘোষ ও কার্তিক ঘোষরা এই পুজো করছেন। 

    ইটাহার থানার পুলিশ আধিকারিকেরা থানা থেকে ডালা নিয়ে ঝুমুর কালী মন্দিরে পৌঁছনোর পর শুরু হয় পুজো। মায়ের থানের উপরে নেই কোনও চালা। পাথরের ছোট মূর্তিতেই ধুমধাম করে পুজো হয় প্রত্যেক বছর। কোনওরকম চাঁদা নেওয়া হয় না পুজোর জন্য। ঘোষ পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা ও ভক্তদের দানে হয় এই পুজো। কার্তিক ঘোষ জানান, জমিদারি প্রথা মেনে আমরা এই পুজো করে আসছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)