সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে সংকটের মধ্যেই জলের অপচয় হচ্ছে। স্টপ কক চুরি হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কল দিয়ে অবিরাম জল পড়ে যাচ্ছে। নাগরিকরা এব্যাপারে সচেতন হয়ে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও পুরসভার কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবছেন না। তাই পাড়ায় পাড়ায় স্টপ কক চুরির ঘটনা ঘটলে বা জলের অপচয় হতে দেখলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা পুরসভায় রিপোর্ট করেন না। শনিবার এক নাগরিক এনিয়ে মেয়র গৌতম দেবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তাতে মেয়র ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলারদের পক্ষে এতকিছু দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুই থেকে তিন জন, কোথাও তারও বেশি ওয়ার্ড সুপারভাইজার রাখা হয়েছে। এগুলি তাঁদেরই দেখার কথা। কিন্তু তাঁরা এবিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নন। তাঁরা কী কাজ করছেন এতেই বোঝা যাচ্ছে।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য এলাকার নাগরিকদের সচেতনতার উপরই জোর দিয়েছেন মেয়র। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টিও ভাবা হবে বলে তিনি জানান। জলের অপচয়ের পাশাপাশি শহরের জঞ্জাল সাফাই নিয়েও অভিযোগ দেখা দিয়েছে। পুজোর মরশুমে শিলিগুড়ি শহরে বিভিন্ন জায়গায় জঞ্জালের স্তূপ জমেছে। অনেক জায়গায় ঠিকমতো নর্দমা পরিষ্কার হয় না। এই অভিযোগ পেলেও জঞ্জাল সাফাইয়ে পুরসভা যে ব্যর্থ তা মনে করেন না মেয়র।
তিনি বলেন, শিলিগুড়ি শহরে উৎসব, পুজোর সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আগে শহরে সাত থেকে আটটি গণেশ পুজো হতো। এখন অনেক বেশি গণেশ পুজো হচ্ছে। গণেশ পুজোর থেকে শুরু করে পরপর পুজো লেগেই রয়েছে। এতে কর্মীদের কাজের চাপ বেড়েছে। সেজন্য আমরা প্রচুর জঞ্জাল সাফাই করার পরও কিছু কিছু জায়গায় জঞ্জাল থেকে যাচ্ছে। তবে এবিষয়টি দেখা হবে বলে তিনি জানান। কারণ শহরে একটু একটু করে হলেও ডেঙ্গু উঁকি দিতে শুরু করেছে। এদিন মেয়র বলেন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে সম্প্রতি আমরা চার জনের ডেঙ্গু সংক্রমণ পেয়েছি। তাই গোটা বিষয়টি আমাদের নজর রয়েছে। কোথাও বাঁশের কোটরে জল জমে থাকলে, কোনও বাড়িতে নোংরা আবর্জনা জমে মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠলে আমাদের কর্মীরা নজর রাখছেন।