• পাহাড়ে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের পর গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক রাজু বিস্তার
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দার্জিলিং: পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এবং গোর্খাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রাক্তন আইপিএস অফিসার পঙ্কজ কুমার সিংকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্ত করার খবরের পর দার্জিলিংয়ে রাজনৈতিক আলোড়ন পড়েছে। শনিবার সকালে দার্জিলিং লোকসভার সাংসদ এবং বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা পাথলেবাসে জিজেএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। জিজেএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও উপস্থিত ছিলেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

    জিজেএম সূত্রের মতে, বিমল গুরুং এবং রাজু বিস্তা উভয়েই একমত হয়েছেন যে স্থায়ী সমাধানে তরাই এবং ডুয়ার্সকে অন্তর্ভুক্ত করা অপরিহার্য। এছাড়াও, গোর্খা সম্প্রদায়ের ১১টি জাতিগোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, জিজেএম প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিংকে সমর্থন করে এবং তাঁকে জয়লাভ করতে সাহায্য করে। তবে সেই সময় কংগ্রেস জোট সরকার গঠিত হয়। ২০১৪ সালে বিজেপি দার্জিলিং থেকে সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়াকে মনোনীত করে এবং বিজেপি কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। ২০১৭ সালে ভাষা বিরোধের কারণে ১০৫ দিন ধরে পাহাড় বন্ধ ছিল, যা দার্জিলিংয়ের ইতিহাসে দীর্ঘতম আন্দোলন বলে বিবেচিত হয়। 

    ২০১৯ সালে, স্থানীয় ভূমিপুত্র (আদিবাসী) প্রার্থীর দাবি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে, বিজেপি রাজু বিস্তাকে মনোনীত করে। তিনি  জয়লাভ করেন এবং সাংসদ হন। বর্তমানে, রাজু বিস্তা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।  বিজেপির ইশতেহারে পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। গোর্খা সম্প্রদায়ের ১১টি জাতিগত গোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ হয়নি। তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পঙ্কজ কুমার সিংয়ের এই নিয়োগ এক বছরের জন্য করা হয়েছে। এই খবরের পরেই বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে রাজু বিস্তার বৈঠক খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Link to this news (বর্তমান)