• দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বললেন পুলিশ আধিকারিকরা
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল ও সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: শোভাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নির্যাতিতা পড়ুয়া শনিবারও রইলেন দুর্গাপুরেই। শুক্রবার ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্যাতিতাকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেয়। কিন্তু, নির্যাতিতা ওড়িশায় বাড়ি ফিরে যাননি। তিনি ওই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেস্ট হাউসেই মাকে নিয়ে রয়েছেন। পুলিশের ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে মা ও মেয়েকে। শনিবার উচ্চপদস্থ পুলিশ অধিকারিকরা নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে ন্যায়বিচার দিতে পুলিশ যে বদ্ধপরিকর, সেটা নির্যাতিতার কাছে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি নির্যাতিতার কাছ থেকে বেশ কিছু নতুন তথ্য পেয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তের কোনও ফাঁক থাকবে না। যত দ্রুত সম্ভব এই গণধর্ষণের ঘটনার চার্জশিট দিতে চায় পুলিশ। তারজন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বিষয় নিয়ে পুলিশ ধোঁয়াশায় ছিল। এদিন তারও উত্তর নির্যাতিতার কাছ থেকে পেয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন চাইছে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। যদিও এনিয়ে পুলিশ কর্তা থেকে আইনজীবী কেউই মুখ খুলতে চাননি।। এদিন দীর্ঘ সময় ধরে নির্যাতিতার সঙ্গে পুলিশ কর্তাদের কথোপকথন হয়। তদন্তকারী অফিসাররা গেস্ট হাউসেই টিফিন করেন। 

    অন্যদিকে, গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। শনিবার ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির ধর্না মঞ্চে এসে বিতর্কিত মন্তব্য করেন  শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি। তিনি বলেন, স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা ব্যাগে ছোট্ট অস্ত্র রাখুন। ব্লেড, সেফটিপিন, এমনকি ছুরি। তা আত্মরক্ষায় ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, আমি দুই মেয়ের মা হিসেবে বলেছি, মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজ্যের যা পরিস্থিতি যে কোনও সময় বিপদ আসতে পারে। 

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এই মন্তব্য উস্কানিমূলক। বিজেপি আমাদের রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাই তাদের বিধায়ক এই ধরনের মন্তব্য করছেন। আমরা পুলিশের কাছে দাবি জানাব, এই মন্তব্যের জন্য বিধায়কের বিরুদ্ধে যেন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)