• স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের পরদিনই রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার স্বামীর মৃতদেহ
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: তাহেরপুরে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত স্বামী প্রাণকৃষ্ণ সাহার মৃতদেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার কৃষ্ণনগর স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর প্রাণকৃষ্ণ আত্মঘাতী হয়েছে। একের পর এক খুনের ঘটনার জেরে এখন নদীয়ার তাহেরপুর যেন ‘ক্রাইম জোন’ হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    প্রসঙ্গত, পুজোর মুখে পরপর দু’টি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর গত বৃহস্পতিবার ফের খুনের ঘটনা ঘটে ওই থানারই বীরনগরে। সেখানকার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পালিতপাড়া এলাকায় গৃহবধূ বেবি সাহাকে(৪৩) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁরই স্বামী প্রাণকৃষ্ণর বিরুদ্ধে। প্রাণকৃষ্ণর আদি বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগর বউবাজার এলাকায়। অবশ্য ওই বাড়ি আগেই বিক্রি করে দিয়েছিল। প্রাণকৃষ্ণ কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকত। আর বীরনগরের ভাড়াবাড়িতে ছিলেন বেবিদেবী। গত বৃহস্পতিবার বীরনগরের পালিতপাড়ায় বাপেরবাড়ি গিয়েছিলেন বেবিদেবী। আচমকা সেখানে গিয়ে বাড়িতে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীর উপর হামলা চালায় প্রাণকৃষ্ণ। রক্তাক্ত অবস্থায় বেবিদেবীকে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    এই ঘটনার পরেই পুলিশ তদন্তে নামে। অভিযুক্ত প্রাণকৃষ্ণর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। কিন্তু, অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি তাহেরপুর থানা। শুক্রবার দুপুরে কৃষ্ণনগর স্টেশনের পাশে রেললাইন থেকে উদ্ধার হয় প্রাণকৃষ্ণর রক্তাক্ত মৃতদেহ। জিআরপি সূত্রে যানা গিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুমান ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণকৃষ্ণর মৃত্যু হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দু’জনের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সেই আক্রোশেই তিনি স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন।

     
  • Link to this news (বর্তমান)