• কুলটিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে নেতাদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি তৃণমূলের
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কুলটি আসনে জেতার লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল। এই প্রথম কুলটিকে দু’টি সাংগঠনিক ব্লকে ভেঙেছে শাসকদল। প্রতিটি ওয়ার্ডে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যেই ঘাসফুল শিবিরের এমন পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে স্থানীয় নেতাদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার কুলটি থানার নিয়ামতপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনি হয়। সেখানে কুলটির নেতাদের নাম ধরে ধরে জেলা সভাপতি বলেন, এই ছ’মাস সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। কাজ করব না অথচ আনন্দ করব-তা মেনে নেওয়া হবে না। তেমন হলে আমি নেতাদের অফিসে তালা মেরে দেব।

    জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, কুলটি বিধানসভা এলাকায় যেসব নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন, তাঁদের সক্রিয় করার জন্যই একথা বলা হয়েছে। ২০২৬সালে এই আসনে আমরা জয়লাভ করব। দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকা বা বিরূপ অবস্থান নিয়ে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।

    কুলটি বিধানসভা আসনে ২০১৬সালে শেষবারের মতো তৃণমূল জয়ের মুখ দেখেছিল। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছিলেন। কিন্তু, ২০১৯সালের লোকসভা নির্বাচনে কুলটি বিধানসভায় বিপুল ভোটে লিড নেন বিজেপি প্রার্থী। ২০২১সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অজয় পোদ্দার খুব অল্প ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন। ২০২৪সালের লোকসভা নির্বাচনেও কুলটি বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী ভালো ভোটে লিড নিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের এই জয়ের ধারাকেই ভাঙতে চাইছে তৃণমূল।

    পরাজয়ের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে পেরেছে, এই বিধানসভায় তৃণমূলের নেতাদের অন্তর্দ্বন্দ্বই মূল সমস্যা। এই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সংগঠন মজবুত করতে দু’টি সাংগঠনিক ব্লক গঠিত হয়েছে। ব্লক সভাপতির পাশাপাশি প্রতি ব্লকে একাধিক সহ-সভাপতি, অন্য শাখা সংগঠনের সভাপতি পদ তৈরি করে নেতাদের সম্মানীয় পদ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলের রাজ্য নেতৃত্বের সবুজ সংকেত পেয়েই এবার বিজয়া সম্মিলনিতে কড়া মন্তব্য করেছে জেলা নেতৃত্ব। কুলটিতে দল যে আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করবে না-তা স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)