নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ‘এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। এটা তো নির্বাচন কমিশনের কাজ। তাহলে ভয় দেখানোর তুমি কে?’ শনিবার তমলুক শহরে রাজবাড়ি ময়দানে জেলা তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চ থেকে বিজেপির উদ্দেশে এই প্রশ্ন ছুড়লেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, প্রতি বছর মৃত ভোটারদের নাম লিস্ট থেকে বাদ যায়। স্থানান্তর হওয়া ভোটারদের নাম এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তোলা হয়। এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। অথচ, বিজেপি এসআইআর নিয়ে ভয় দেখানো শুরু করেছে। তাঁর প্রশ্ন, এতে ভয়ের কী আছে? এত চমকানির কী আছে? এদিন বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চে মানসবাবু বলেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তারআগে তিন মাস বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পুরসভার চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিজের এলাকায় যেতে হবে। ১০ঘণ্টা অফিসে বসে থাকলে হবে না। এলাকায় গিয়ে কাজ করতে হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে পদ্মফুলের বাগান করতে দেওয়া হবে না। দেশ স্বাধীন করতে এই জেলা রক্ত দিয়েছে। বিপ্লবীদের জেলা এই পূর্ব মেদিনীপুর। প্রত্যেকে ধুলিকনায় বিপ্লবের মন্ত্র জড়িয়ে আছে। রাস্তা থেকে ধুলিকণা তুলে কপালে তিলক কেটে শপথ নিন, এই জেলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেব। পদ্মফুলের চাষিদের এখানে চাষ করতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, নন্দীগ্রাম পাস্ট ফরগটন চ্যাপ্টার। ২০২৬সালে নতুন উদ্যমে সেখানে ঝাঁপাতে হবে। এরপর একটি কথাও দল শুনবে না। কোনও অজুহাত ও ব্যাখ্যা কেউ শুনবে না।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, ইলেকশনের সময় বিজেপি ভোট পাখি হয়ে এখানে উড়ে আসে। ভোট মিটে গেলে ওদের আর দেখা যায় না। এবার ওদের জামানত জব্দ করে দিতে হবে। আপনাদের আশীর্বাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনিই চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু, মনে রাখবেন ২০২৬সালের নির্বাচন বাংলা বাঁচানোর লড়াই। বিজেপি বাংলাকে ঘৃণা করে। বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। ওদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা দেবে বলছে। আসলে ওরা তিন পয়সাও দেবে না। সবটাই ধাপ্পাবাজি। বিজেপির আসলে বাংলার নিরিখে ‘বাংলা জ্বালাও পার্টি’। আর দেশের নিরিখে বিজেপি হল, ‘ভারতীয় জুমলা পার্টি’। এদিন সম্মেলনে মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।