• পুলিশের অতিসক্রিয়তায় কৃত্রিম যানজট, ক্ষুব্ধ বারাসতের মানুষ
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কালীপুজোর আগেই আলোর উৎসবে ভাসল জেলা সদর বারাসত শহর। পিছিয়ে নেই মধ্যমগ্রাম। উদ্বোধনের পাশাপাশি শনিবার থেকে প্যান্ডেল হপিং শুরু করে দিয়েছেন দর্শনার্থীরা। বহু মানুষের অভিযোগ, কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে যানজট। ফলে কালীপুজোর আগেই নাকাল সবাই। যানজটের পিছনে পুলিশের অতিসক্রিয়তাকে দায়ি করেছেন নাগরিকরা।

    সোমবার কালীপুজো। তার আগে শুক্রবার থেকে বারাসতের বড় বাজেটের পুজোগুলি আলোয় ভরিয়ে দিয়েছে গোটা অঞ্চল। মণ্ডপ চূড়ান্ত হওয়ার পর শনিবার সন্ধ্যাতে কয়েকটি পুজো উদ্বোধন হয়েছে। তারপর শনিবার থেকে প্যান্ডেল হপিং শুরু করে দেন দর্শনার্থীরা। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বা আলোকসজ্জায় একে অপরের টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলে। জেলা সদরে বিগ বাজেটের পুজো মূলত ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কেন্দ্রীভূত। পুজোর ক’টা দিন বিকেল থেকে জাতীয় সড়ক চলে যায় লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীর দখলে। প্রতিবছরই জাতীয় সড়কের উপরে বাঁশের ওভারহেড গেট তৈরি করে পুজো কমিটি। ওভারহেড গেটে লাগানো হয় চোখধাঁধানো আলো। জাতীয় সড়কের উপরে ওভারহেড গেট না করার জন্য পুজো কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই নির্দেশ অম্যন্য করে এ বছরও ডাকবাংলো থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত বাঁশের ওভারহেড গেট তৈরি হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল সচল রাখতে জাতীয় সড়কের কিছু অংশ গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্যই এই অংশ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গার্ডরেল ব্যারিকেড করার ফলে জাতীয় সড়ক অপ্রশস্ত হয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে। পুজোর দু’দিন আগে শনিবার সন্ধ্যায় যানজটে নাকাল হতে হয়েছে শহরের বাসিন্দাদের। বারাসত শহরের প্রবীণ বাসিন্দা অসীম সরকার বলেন, কালীপুজোর চমক দীর্ঘদিনের। কিন্তু এবারই প্রথম দেখা গেল জাতীয় সড়ক পুলিশকে ব্যারিকেড তৈরি করতে। শুধু তাই নয় শহরের গলির পিচের রাস্তা খুঁড়ে ডিভাইডার তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের এই অতি সক্রিয়তায় যানজট পুজোর দু’দিন আগে থেকেই বেড়ে গিয়েছে। শনিবার বিকেলে বারাসতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া। তিনি বলেন, এবার কালীপুজোর দিনগুলির জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)