• বধূর মৃত্যুর ৪৭ দিন পর খুনের কথা জানল নারকেলডাঙা থানার পুলিশ! জানল, ঘটনাটি খুনের!
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঠিক ৪৭ দিন পর, খুনের কথা জানতে পেরেছে কলকাতার নারকেলডাঙা থানার পুলিশ! তাও ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর! স্বভাবতই নারকেলডাঙা থানার ওসি সঞ্জয় মিশ্র এবং তদন্তকারী অফিসারের গাছাড়া মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কলকাতা পুলিশের অন্দরেই। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মৃত মহিলার ভাইয়ের দায়ের করা এক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে শুক্রবার রাতে মহিলার স্বামী এবং ননদকে গ্রেফতার করেছে নারকেলডাঙা থানা।  ধৃতরা হল সঞ্জয় সিং এবং তার বোন রেখা  পোয়াল। ধৃত দু’জনকে শনিবার শিয়ালদহ আদালতে হাজির করা হলে, আদালত তাদের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। 

    প্রাথমিক তদন্তে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২৩ সালে  ২৬ অক্টোবর ঠিকাদার সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল  বিহারের নওদার বাসিন্দা  রাখি সিং ওরফে নয়না কুমারীর। রেখার ভাই মনীশ কুমার সিংয়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে নারকেলডাঙা থানার রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিটের শ্বশুরবাড়িতে তাঁর বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলত। অভিযোগ, চলতি বছরের ২৯ আগস্ট শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় নয়নাকে।  

    ঘটনার পর  শ্বশুরবাড়ির লোকজন নারকেলডাঙা থানার পুলিশকে জানায়, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মারা গিয়েছে তাদের বধূ নয়না।  ‘গাছাড়া’ তদন্ত করেই তখনকার মতো দায় সারে নারকেলডাঙা থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার। এমনকী সংশ্লিষ্ট থানার ওসি বিষয়টি লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের নজরে আনেননি। ফলে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ময়না তদন্তে কেউ উপস্থিত ছিল না বলেই লালবাজারের এক সূত্র জানাচ্ছে।  এদিকে, চলতি মাসের ১৫ তারিখে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ জানতে পারে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে নয়না কুমারীকে। এরপরই কার্যত ঘুম ভাঙে এই থানার। খুনের ৪৭ দিন পর  মামলা দায়ের করে মুখ রক্ষা করেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। কিন্তু এই ৪৭ দিনের খুনের ঘটনাস্থল ধুয়ে মুছে সাফ! এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে নারকেলডাঙা থানার ওসি সঞ্জয় মিশ্রকে বারবার ফোন এবং হোয়াটস অ্যাপে মেসেজে পাঠানো হলেও, কোনও উত্তর আসেনি।   
  • Link to this news (বর্তমান)