• সাহেব বাঁধ নিয়ে যৌথ তদন্ত কমিটি, কড়া বার্তা জাতীয় পরিবেশ আদালতের
    এই সময় | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়, শুখা: পুরুলিয়ায় জলের সমস্যা মেটাতে সাহেবরা এক সময়ে খনন করেছিল এই বিশাল জলাধার। তাই তার নাম সাহেব বাঁধ। খননের পরে পার হয়ে গিয়েছে প্রায় ২০০ বছর। পুরুলিয়ার সেই সাহেব বাঁধ আজ দূষণে জর্জরিত।

    একটা সময়ে দূষণের হাত থেকে এই জলাধারকে বাঁচাতে তৈরি হয়েছিল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। কিন্তু, সেই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টও দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। শহরের বর্জ্য ও দূষিত জল সরাসরি মিশছে বাঁধের জলে। তার ফলে মারা পড়ছে মাছ এবং অন্য জলজ প্রাণী। সাহেব বাঁধের দূষণ নিয়ে কড়া অবস্থান নিল জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)।

    পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এনজিটি-র পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের বিচারপতি অরুণ কুমার ত্যাগী ও বিশেষজ্ঞ সদস্য ঈশ্বর সিং–এর বেঞ্চ নির্দেশ জারি করেছে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি), পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (ডব্লিউবিপিসিবি) ও পুরুলিয়া জেলার জেলাশাসকের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

    বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, কমিটিকে আগামী দু’প্তাহের মধ্যে সাহেব বাঁধ ও সংলগ্ন এলাকায় সরেজমিনে তদন্ত চালিয়ে রিপোর্ট আদালতে জমা িদতে হবে। তদন্তে পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত ও প্রকল্পের প্রতিনিধিদেরও অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

    ২২ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই যৌথ তদন্ত কমিটিকে জানাতে হবে, ১৮৪৩ সালে খনন করা এই ঐতিহাসিক জলাধারটির অবস্থা কেন এমন হলো? ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট অকেজো জানার পরেও কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন?

  • Link to this news (এই সময়)