স্ত্রী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে স্থায়ী খোরপোশের দরকার নেই, তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল্লি হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোরপোশের আবেদন করেছিলেন আর্থিকভাবে স্বচ্ছল বিবাহবিচ্ছিন্না স্ত্রী। তাঁর সেই মামলা খারিজ করে আদলতের রায়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী স্ত্রী খোরপোশ দাবি করতে পারেন না। খোরপোশ কোনও ভাবেই আর্থিক বৃদ্ধি ও দু’জনের মধ্যে সমতা আনার মাধ্যম নয়। একটি মামলা এমনই রায় দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
দিল্লি কোর্টের বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চে খরপোশের মামলাটি ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ হিন্দু বিবাহ আইন ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, মহিলা খোরপোশ পাওয়ার যোগ্য নন। আদালত জানিয়েছে, আবেদনকারীর আর্থিক সাহায্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আবেদনকারীকেও প্রমাণ দিতে হবে কেন তাঁর খরপোশের প্রয়োজন। তিনি নিজের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি তাও বিবেচনার বিষয়। বিষয়টি ঠিক কী?
সম্প্রতির দিল্লির বাসিন্দা এক আইনজীবীর সঙ্গে বিয়ে হয় ভারতীয় রেলে কর্মরত এক মহিলার। কিন্তু তাঁদের বিবাহ ১৪ মাসের মাথায় ভেঙে যায়। স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন মহিলা। স্থানীয় পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা খোরপোশের দাবি করেছিলেন মহিলা। সেই আবেদন বাতিল করে নিম্ন আদালত। মামলা গড়ায় হাই কোর্ট পর্যন্ত। হাই কোর্ট মামলা খারিজ করে বলে, “হিন্দু বিবাহ আইনের (HMA) ধারা ২৫ এর অধীনে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং স্বাধীন কেউ খরপোশ পেতে পারেন না।” কোন যুক্তিতে আদালত আবেদন খারিজ করেছে?
আদালত জানিয়েছে, “যুগল খুব কম সময়ে একসঙ্গে কাটিয়েছেন। তাঁদের সন্তানও নেই। আবেদনকারীর স্থায়ী ইনকাম রয়েছে। আবেদনকারী কেন খোরপোশ লাগবে তার যথেষ্ঠ প্রমাণও দিতে পারেননি। তাই স্থায়ী ভরণপোষণের জন্য আবেদনটি খারিজ করা হল।”