• সিমহীন মোবাইলেই চলছিল ওয়টস্যাপে যোগাযোগ
    আনন্দবাজার | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • রাজস্থানে খুন করে এ শহরে আশ্রয় নিতে আসা, ধৃত তিন দুষ্কৃতীর এক জন গণপত গুর্জরই ব্যবসায়ীকে গুলি করেছিল। ধৃতের দাবি, সে দু’রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাস্থলের কাছেই বন্দুকটি ফেলে দেয় বলে দাবি। ওই সময়ে তার সঙ্গে ছিল দুই দুষ্কৃতী ধর্মেন্দ্র গুর্জর ও মহেশ গুর্জর। এসইউভি গাড়িতেই যাতায়াত করেছিল তারা, যা চালাচ্ছিল ধর্মেন্দ্র।

    বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাগানের কাদাপাড়া এবং সল্টলেক থেকে খুনে জড়িত ওই তিন জনকে আটক করে রাজস্থান পুলিশের হাতে দেয় কলকাতা পুলিশ। ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা চার জন এসেছিল কলকাতায়। তাদের মধ্যে জুবের আহমেদ নামে এক দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। জুবেরকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর স্টেশন থেকে শনিবার গ্রেফতার করে রাজস্থান পুলিশ। কলকাতা থেকে ধৃতদের শুক্রবারই রাজস্থানে নিয়ে গিয়েছে।

    ৭ অক্টোবর ভোরে রাজস্থানের দিদওয়ানা জেলার কুচামান থানা এলাকার একটি জিমে ব্যবসায়ী রমেশ রুলানিয়াকে গুলি করে খুন করা হয়। গ্যাংস্টার রোহিত গোদরার দলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, রোহিত গোদারা ও তার সঙ্গী বীরেন্দ্র চরণই খুনের জন্য ভাড়া করেছিল ধৃতদের। তবে ধৃতেরা জানিয়েছে, খুনের পরে কোনও টাকা পায়নি। তাদের ওই কাজে লাগিয়েছিল জিতু। আত্মগোপন করে থাকার সময়ে জিতুই ইউপিআইয়ের মাধ্যমে থাকা-খাওয়ার জন্য টাকা দিচ্ছিল।

    ধৃতদের কাছ থেকে মিলেছে একটি সিম কার্ডহীন মোবাইল। যা তারা বিভিন্ন জায়গার ওয়াইফাই কানেক্ট করে ওয়টস্যাপের সাহায্যে রাজস্থানে থাকা দলের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। পুলিশকে ফাঁকি দিতেই ওই পন্থা বাছে দুষ্কৃতীরা। হোটেল গিয়ে তারা বলত, মোবাইল হারিয়ে গিয়েছে। তাই সেখানকার ইউপিআই নম্বর দিলে পেমেন্ট করে দেবে তাদের বন্ধু জিতু। পুলিশের নজর এড়াতে ধৃতেরা রাজস্থানের নম্বরের ট্রাকে করেই যাতায়াত করত।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)