• বিএলওরা গ্রামে গেলে তৃণমূল কর্মীদেরও যাওয়ার নিদান বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদের
    এই সময় | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • পুজো মিটতেই বাংলায় বাজবে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন বা SIR-ডঙ্কা। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই তালিকায়। উৎসবের মরশুমে SIR হচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন ভোটারের নামও যেন বাদ না যায়, তা নজরে শাসকশিবিরের। এরই মধ্যে বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা। বিএলওরা গ্রামে গেলে, দলীয় কর্মীদেরও তাঁদের সঙ্গে যাওয়ার নিদান দিয়েছেন তিনি। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, কোনও রকম জোর জবরদস্তি হলে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

    বাঁকুড়ার সিমলাপালের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘বিএলওরা গ্রামে গেলে আপনারা তাঁর সঙ্গে যান। গ্রামে কোনও ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর ফর্ম নিয়ে আপনারা পূরণ করে জমা দিন। গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় নাগরিক কমিটি গঠন করে নাম বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।’ সাংসদের এ হেন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    বিজেপির বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের লোকেরা কাজ করবে। সেখানে তৃণমূল কোনও ভাবে বাধা দিতে গেলে, জবাবের জন্যও তৈরি থাকতে হবে। কেন্দ্রের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘বিএলওদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা কি মস্তানি করতে যাবে? বিএলও শুধু জেলা প্রশাসনের অধীনে, এমনটা ভেবে বসে থাকবেন না। জেলা প্রশাসন-সহ গোটা প্রশাসনটাই কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অধীনে। দয়া করে এমন মস্তানি করতে যাবেন না। মস্তানি করলে সেখানে কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিও চলতে পারে, ডান্ডাও চলতে পারে।’

  • Link to this news (এই সময়)