কালীপুজোর আগেই লণ্ডভণ্ড বারাসত, এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর পায়ে হেঁটে মণ্ডপে পৌঁছতে হল মন্ত্রীকে
বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কালীপুজোর দু’দিন আগেই কার্যত বেনজির চিত্র দেখা গেল বারাসতে। ‘কৃত্রিম’ যানজটের দরুণ কার্যত নাজেহাল অবস্থা। আর তা থেকে রেহাই পেলেন না রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী থেকে বিধায়ক। ১ ঘণ্টার বেশি যানজটে আটকে থেকে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে মণ্ডপে পৌঁছতে হল তাঁদের। জাতীয় সড়ক তো বটেই, এমনকি রাজ্য সড়কেও গাড়ির লম্বা লাইনে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠল আমজনতার। অভিযোগ, ব্যাপক যানজটের জেরে দীর্ঘক্ষণ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে জেলা সদর বারাসতের ট্রাফিক অবস্থা।গতকাল, শনিবার রাতের যানজট কাটাতে গিয়ে কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয় ট্রাফিক পুলিশের। বিধায়ক চিরঞ্জিতের দাবি, যানজটের জেরে বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁকে ও মন্ত্রীকে অন্তত এক ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। নিজের বিধানসভা এলাকা বারাসতে এরকম দশা আগে কখনও তিনি দেখেননি বলেও সাফ জানিয়েছেন। মন্ত্রী রথীন ঘোষ অবশ্য এর জন্য আবহাওয়া অফিসের আগাম নিম্নচাপের সতর্কতার জেরে মানুষের পুজো দেখার আবেগকেই দায়ী করেছেন। এদিকে সাধারণ মানুষ অবশ্য পুলিশের পরিকল্পনার ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, পুজো অনেকটাই বাকি। তার আগেই শনিবার রাতে যদি এই অবস্থা দাঁড়ায়, তাহলে পুজোর ক’টা দিন যে শহর লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী যান একাধিক পুজো উদ্বোধনে। সেখান থেকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একটি পুজো মণ্ডপে যেতে গিয়ে বিপাকে পড়েন মন্ত্রী-বিধায়ক দু’জনেই। তীব্র যানজটে ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে মন্ত্রী রথীন ঘোষের কনভয় আটকে যায়। গাড়িতে বসে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষাও করেন তিনি। কিন্তু, যানজট না ছাড়ায় শেষে জাতীয় সড়ক ধরে সোজা হাঁটা লাগান মন্ত্রী। যানজটের মুখে পড়ে একই অবস্থা হয় বারাসতের বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীরও। তাঁর খেদ, জাতীয় সড়কে যানজট এতটাই ছিল যে ১১ নম্বর রেলগেটের কাছে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় আমাদের। যানজটের মুখে পড়ে মন্ত্রী বুদ্ধি করে পায়ে হেঁটে অন্য একটি পুজো মণ্ডপে যান। কেউ ভাবতে পারিনি এত ভিড় হবে পুজোর আগেই। ১৫ বছর ধরে বিধায়ক পদে রয়েছি এমনটা আগে দেখিনি। বিষয়টি নিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়েছিল ঠিকই। পরে তা সামাল দেওয়া গিয়েছে।