মনসংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের ভাগলপুর থেকে বিজেপির টিকিট না পেয়ে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছেলে অরিজিৎ শাশ্বত চৌবে। কিন্তু এক ফোনেই বদলে গেল সবকিছু। জেলা শাসকের দপ্তরে পৌঁছেও জমা দেওয়া হল না মনোনয়ন। বাবার আদেশ মেনে প্রার্থী না হয়েই ঘরে ফিরলেন ছেলে।
এমনই ঘটনা ঘটেছে বিহারের ভাগলপুরে। প্রাক্তনমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের ছেলে অরিজিতের আশা ছিল বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভাগলপুর থেকে তাঁকে প্রার্থী করবে বিজেপি। এই আসনে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জিতেছেন অরিজিতের বাবা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। দক্ষিণ-পূর্ব বিহারের এই আসনে গত তিন বছর ধরে জিতছেন কংগ্রেসের অজিত শর্মা।
এই আসনে ফের রোহিত পান্ডেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। গত নির্বাচনে প্রায় এক হাজার ভোটে হারেন তিনি। পান্ডের নাম সামনে আসার পর থেকেই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে সমস্যা। অরিজিৎকে দল প্রার্থী না করায় নির্দল হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সেই মত সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু নাটকীয়ভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঠিক আগেই আসে অশ্বিনী চৌবের ফোন। সাংবাদিকদের সামনেই ফোনে কথা বলার পরে জেলা শাসকের দপ্তর থেকে ফিরে যান অরিজিৎ। পরবর্তীকালে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, বাবার নির্দেশেই ফিরে যাচ্ছেন তিনি।
অশ্বিনী চৌবের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অরিজিৎ। প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁকে সরাসরি জানিয়েছেন, ‘তুমি বিজেপি-তে রয়েছ এবং বিজেপি-তেই থাকবে’। ৪৩ বছরের অরিজিৎ তৎক্ষণাৎ ফিরে যান জেলা শাসকের দপ্তর থেকে। তিনি বলেন, “আজ, আমার বাবা এবং মা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। এটা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল। আমি কীভাবে তাঁদের অমান্য করতে পারি? আমি আমার দল এবং দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারি না। আমি তাঁদের বিরোধিতা করতে পারি না।”