সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকাল কবে আসবে, তার খোঁজ সুপর্ণা রাখুক বা না রাখুক দিল্লিবাসী অবশ্যই রাখে। কেননা প্রতিবারই শীতকাল আসতে না আসতেই দূষণের ছোবলে জেরবার হয় জনজীবন। এবছরই তার ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর দূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। দিওয়ালির আগেই তা ছাড়িয়ে গিয়েছে চারশোর গণ্ডি!
সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমেছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাস্তা। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দূষণের এই ছবি দেখে। সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা অক্ষরধামের। সেখানে বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই পৌঁছেছে ৪২৬-এ। অর্থাৎ ‘ভয়ানক’ মাত্রায়। অন্যদিকে সিপিসিবির তথ্য অনুসারে, আনন্দ বিহারে তা ৪১৮। পাশাপাশি বারাপুলায় তা ২৯০। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জলকামান দাগা হয়েছে। সেখানে রবিবাসরীয় সকালে দূষণের মাত্রা ছিল ২৬৯।
শনিবার দিল্লির গড় একিউআই ছিল ২৬৮। CPCB-র তথ্যানুসারে, আনন্দ বিহারে দূষণের মাত্রা ছিল ৩৮৪, ওয়াজিরপুরে ৩৫৯, জাহাঙ্গিরপুরী ৩০৭, সিরি ফোর্ট ৩০৩। তথ্য থেকে আরও জানা যাচ্ছে, ১৪ অক্টোবর থেকে ক্রমশ বাড়ছে দূষণের মাত্রা। আগামিকাল তা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, ধোঁয়াশার জেরে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারতে গত শীতেও বারবার ব্যাহত হয়েছিল বিমান ও রেল পরিষেবা। বহু বিমানের সময়সূচিতে পরিবর্তন করতে হয়। প্রভাব পড়েছিল রেল পরিষেবাতে। এবারও পরিস্থিতি তেমনই হতে পারে এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। গতবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘ভয়ানক’ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। এরপরই ‘জিআরএপি-৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-৩) লাগু করে প্রশাসন। এর ফলে অনলাইনে স্কুল, রাজধানীর সড়কে বিএস ৩-এর নিচে থাকা পেট্রল গাড়ি, বিএস ৪-এর নিচে থাকা ডিজেল গাড়ি এবং পণ্যবাহী মাঝারি আকারের যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিতে হয়। রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত যে ভয়ংকর পরিবেশ দূষণের মুখোমুখি হয়, তার অন্যতম কারণ শস্যের গোড়া পোড়ানো। এদিকে দিওয়ালিতে বাজি ফাটানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ফাটানো যাবে সবুজ বাজি। বাজি ফাটানোর সময়সীমা সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং সন্ধে ৮টা থেকে ১০টা।