• ওড়িশায় নারীপাচার ও যৌনচক্রের হদিশ! ধর্ষণের তদন্তে প্রকাশ্যে ভয়ংকর তথ্য, গ্রেপ্তার ‘ধর্ষক’-সহ ৪
    প্রতিদিন | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে নাবালিকাকে ধর্ষণের তদন্তে নেমে ভয়ংকর তথ্য পুলিশের হাতে। তদন্তে যৌন ও নারীপাচার চক্রের হদিশ পেল পুলিশ। নির্যাতিতা সেই চক্রেরই শিকার! অভিযান চালিয়ে লক্ষ্মীনগর থানা এলাকা থেকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নারীপাচার ও বাড়িতে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে বাড়ির মালিক ও দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় মোট গ্রেপ্তার ৪। ধর্ষণের পাশাপাশি যৌনচক্র ও নারীপাচার মামলা দায়ের করে তদন্তে পুলিশ। পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে যৌনপেশায় যুক্ত তিন মহিলাকে উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা।

    পুলিশ জানিয়ছে, ১৬ বছরের নির্যাতিতা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। কিশোরী নারীপাচার চক্রের শিকার হয়ে ওড়িশায় চলে আসে বলে প্রাথমিক অনুমান। তাকে যৌন পেশায় নামতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অনুমান। মেয়েটির উপর আগেও যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গোপনাঙ্গে মারাত্মক আঘাত রয়েছে। এখনও আতঙ্কে রয়েছে সে।

    কী করে অভিযুক্তের খোঁজ মিলল? যৌনচক্রের হদিশও বা পাওয়া গেল কী করে? একটি অটো রিক্সা মেয়েটিকে হাসপাতালের সামনে রেখে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সেই গাড়িটির হদিশ পায় পুলিশ। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় একটি অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি বুক করে লক্ষ্মীনগরের এক মহিলা। কিশোরীকে তুলে দেয় গাড়িতে। সেই তথ্য পাওয়ার পরই পুলিশ জানতে পারে লক্ষ্মীনগর এলাকায় একটি বাড়িতে যৌনচক্র চলছে। যৌথ অভিযান চালায় লক্ষ্মীনগর থানার পুলিশ ও ক্যাপিটাল থানা।

    সেখানে হানা দিয়ে মঞ্জু শেঠি, মমতা সাহু, সঞ্জীবকুমার দাস ও অবিনাশ মুদুলি নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর,  মঞ্জু, মমতা, সঞ্জীবকুমার এই পাচারচক্রের হোতা। অবিনাশ মুদুলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে।

    পুলিশ কমিশনার এসদেব দত্ত সিং বলেন, “যে অটোরিক্সাটি করে নাবালিকা মেয়েটিকে ক্যাপিটাল হাসপাতালে পাঠিয়েছিল, সে আরও দুজনের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে যৌন র‍্যাকেট চালাচ্ছিল। পুলিশ বাড়ির মালিক সঞ্জীবকুমার দাস (৫৪) ও দুই দালাল মঞ্জু শেঠি (৪৭) ও মমতা সাহুকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে। পরে, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে নয়াগড়ের ২৮ বছর বয়সি অবিনাশ মুদুলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারির পর বিএনএসের ধারা ৬৫(১) ও পকসো আইনের ধারা ৬-এর অধীনে দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাড়িটির মালিক ও দুই দালালের বিরুদ্ধে যৌনচক্র ও নারী পাচারের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবিনাশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)