• ঘাটালে মনসা পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ ১৫০ জনেরও বেশি, ক্যাম্প বসাল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর
    প্রতিদিন | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: মনসা পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে ২২ জন শিশুও আছে বলেও জানা যাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাল মহকুমার দাশপুর এক নম্বর ব্লকে। ঘটনার খবর পেয়েই গ্রামে ছুটে গিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। গ্রামেই বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

    জানা গিয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় স্থানীয় দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে খোলা আকাশের নিচে রাতে রান্না হয়। কোনওরকম বিষক্রিয়ার ফলেই এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান আধিকারিকদের।

    জানা যায়, শনিবার রাতে দাশপুরে মনসা পুজোর আয়োজন করা হয়। সুরথপুর-সহ তিনটি গ্রামের প্রায় ৩০০ জন আমন্ত্রিত ছিলেন এই পুজোয়। প্রসাদ হিসাবে খিচুরি, বাঁধাকপি রান্না হয়। একেবারে খোলা আকাশে গভীর রাত পর্যন্ত রান্না চলে। চলে খাওয়া-দাওয়া। অভিযোগ, রাত থেকে একের পর এক মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করেন। শুরু হয় বমি। এমনকী একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ২২ জন শিশু-সহ ১৫০ জনের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে ভোর থেকে গ্রামে মেডিক্যাল টিম বসানো হয়। অন্তত ১৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী কাজ করছেন।

    কমিউনিটি হেলথ অফিসার, দোয়েল খাটুয়া জানান, ”প্রসাদ খেয়ে ১৫০ বেশি গ্রামবাসী অসুস্থ। যার মধ্যে ২২ জন শিশুও আছে।” তাঁর কথায়, ”মেডিক্যাল ক্যাম্পে এনে সবার চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” দোয়েল খাটুয়ার কথায়, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন পঞ্চায়ত সমিতির সভাপতি সুকমার পাত্রও। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পরে জানান, ”কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জল থেকে নাকি খোলা আকাশের নিচে রান্না হওয়ায় কোনও বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।” ঘটনাস্থলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন এক নম্বর ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাসও।
  • Link to this news (প্রতিদিন)