উৎসবের মরশুমে ফের দুঃসংবাদ এল ভিনরাজ্য থেকে। শনিবার তিনটি পৃথক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃতরা কেরল, বেঙ্গালুরু ও মহারাষ্ট্রের তিনটি পৃথক নির্মাণস্থলে কর্মরত ছিলেন। বাড়ির ছেলেদের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃতদের নাম রাকিবুল শেখ (৩৭), হোসেন শেখকে (২০) ও মহম্মদ রেজওয়ান (৪২)। রাকিবুল ডোমকল থানার সারাংপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কেরলের একটি নির্মাণস্থলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কয়েকমাস আগে গ্রামেরই কয়েকজনের সঙ্গে সেখানে কাজে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সপ্তাহখানেক আগে কাজ করার সময় হঠাৎ উপর থেকে পড়ে গিয়ে মাথা ও শরীরের অন্যান্য অংশে চোট পান রাকিবুল। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন সহকর্মীরা। শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, রাকিবুলের কর্মস্থলে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। সেই কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
আর এক মৃত ব্যক্তি হোসেন শেখের বাড়ি ডোমকলের সারাংপুর গ্রামে। শনিবার বেঙ্গালুরুর একটি নির্মাণস্থলে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার কেন তাঁর সহকর্মীরা। হোসেনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কী কারণে তিনি চরম পদক্ষেপ নিলেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
অন্যদিকে, মহম্মদ রেজওয়ানের বাড়িও মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকায়। মহারাষ্ট্রের নাসিকে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। দেড় মাস আগেই তিনি কাজে যোগদান করেছিলেন। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, রোদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কালীপুজোর আগে জেলার তিন শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে মুর্শিদাবাদজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত ৩ জনের দেহ রাজ্যে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।