সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে খুনের পর দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা! বাড়ির শৌচালয়ে দেহ ফেলে রেখে স্ত্রী বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে বলে দাবি স্বামীর! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে। অভিযোগ, গার্হস্থ্য হিংসার জেরে গলা টিপে স্ত্রীকে খুনের পর তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি অভিযুক্ত। তবে সমস্ত ষড়যন্ত্র ভেস্তে যাওয়ার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবতীর ৩২ বছর বয়সি রেশমা। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫ বয়স বয়সি প্রশান্ত কম্মারকে। প্রশান্ত ইলেকট্রিশিয়ন হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে সুরেন্দ্র নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রেশমার। কিন্তু বিয়ের মাত্র এক বছরের মধ্যে অসুখে মৃত্যু হয় সুরেন্দ্রর। তাঁদের ১৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ৯ মাস আগে ইন্সটাগ্রামে প্রশান্তর সঙ্গে আলাপ হয় রেশমার। এরপর বিয়ে করে বল্লারি জেলার হুবিনা হডগলিতে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। বিয়ের পর প্রশান্তর সন্দেহ হয় রেশমার অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। যা নিয়ে অশান্তিও হত দুজনের। গত ১৫ অক্টোবর দু’জনের অশান্তি চরম আকার নিলে রেশমার গলা টিপে খুন করে প্রশান্ত।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, খুনের পর এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখাতে রেশমার দেহ শৌচালয়ে রেখে জলের বালতিতে হিটার চালু করে দেয় অভিযুক্ত। রেশমার মেয়ে স্কুল থেকে এসে দেখে শৌচালয়ের দরজা বন্ধ। কোনওমতে দরজা খুলে সে দেখে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে মা। স্থানীয়দের ডেকে রেশমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অভিযুক্ত জানায়, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পরে জেরায় ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।