• দিওয়ালি, ছটপুজোর আগে ঘরে ফেরার তাড়া! দেশভর স্টেশনগুলিতে জনজোয়ার
    প্রতিদিন | ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালি ও ছটপুজোর আগে ঘরে ফেরার তাড়া। স্টেশনগুলিতে তাই জনসমুদ্র। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের অসংখ্য বাসিন্দা দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত থাকেন। কিন্তু বচ্ছরকার দিনে সকলেরই ইচ্ছে করে বাড়ি ফিরতে। আর সেই কারণেই স্টেশনগুলি উপচে পড়ছে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড়ে। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অ্যালার্ট মোড’-এ রাখা হয়েছে বড় স্টেশনগুলিকে।
    এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক বছরের মতো এবারও ভিড় হবে আশঙ্কা করেই বড় বড় স্টেশনগুলিতে আরপিএফ ও জিআরপি কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে ট্রেনে উঠতে পারেন এবং নিয়মশৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়, সেদিকে তাকিয়েই এই সতর্কতা।

    সুরাট স্টেশনে দেখা গিয়েছে বিরাট মানবশৃঙ্খল। টিকিটের লাইন লম্বা হতে দু’কিলোমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনও জানা যাচ্ছে, শনিবার ১২ ঘণ্টাও অপেক্ষা করতে হয়েছে কাউকে কাউকে। লাইনে পুরুষ, মহিলা, বয়স্ক, শিশু কে নেই!

    একই দৃশ্য মুম্বইয়েও। লোকমান্য তিলক টার্মিনাসে প্রকাণ্ড ভিড় দেখলে চমকে উঠতে হয়। কোনওভাবেই যাতে কোনওরকম গোলমাল না বাঁধে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রেলকর্মীরা। নজর রাখা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মের দিকে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, বেশি দামে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে স্টেশনের বাইরে। তবে অনেকে এটা মানছেন, আগের বারের চেয়ে এবার ব্যবস্থা অনেক ভালো।

    এদিকে কানপুর সেন্ট্রালে, বিহার ও পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনগুলিতে এত ভিড় ছিল যে বহু যাত্রীকে ট্রেনের শৌচাগারের মধ্যে বসেই যাত্রা করতে হয়েছে। অনেকেই জানাচ্ছেন, ট্রেনে ওঠার আগে ছয় থেকে আট ঘণ্টা তাঁদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে! স্লিপার কোচগুলিতে ভিড় ছিল অবিশ্বাস্য। দাঁড়ানোর জন্যও যেন কোনও জায়গা ছিল না। যাত্রীদের গরমে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। বাধ্য হয়েই অনেকে শৌচাগারে ঢুকে পড়েন। একই দৃশ্য অন্যত্রও। 

    অর্থাৎ দেশজুড়েই ছবিটা প্রায় একই। বিরাট ভিড়, দীর্ঘ লাইন ও যাত্রীদের কষ্ট- ব্যাপারটা প্রায় একই। কিন্তু এত কষ্ট সহ্য করেও বাড়ি ফিরতে মরিয়া তাঁরা। আসলে ‘ঘরে ফেরার গান’-এর কাছে সব কষ্টই যেন তুচ্ছ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)