নজরদারিতে ১ হাজার পুলিশ, নৈহাটির বড়মার মন্দিরে ভিড় সামলাতে বিশেষ ব্যবস্থা
প্রতিদিন | ২০ অক্টোবর ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: নৈহাটির বড়মাকে দ্বিতীয়বার পুজো দিতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল তিনটের সময় তাঁর আসার কথা। জানা গিয়েছে, প্রথমেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ পুজো দেবেন অরবিন্দ রোডের প্রায় ১০২ বছরের পুরনো সুউচ্চ ঘন কৃষ্ণবর্ণের বড়মাকে। তারপর পুজো দেবেন মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কষ্টিপাথরের বড়মাকে। সেইমতো পুলিশ প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির তরফে শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা।
বলে রাখা ভালো, এর আগে ২০২৩ সালে, বড়মার মন্দিরটি নতুন করে স্থাপনের পর উদ্বোধনের সময় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের বছর ২০২৪ সালে বড়মার মন্দিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার তাঁকে মন্দির কর্তৃপক্ষ বড় একটি দেবীমূর্তির ছবি উপহার হিসেবে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু মমতা জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে এত জায়গা নেই। তাই ছোট একটি মূর্তি তৈরি করে দিতে। সেইমত মন্দির কমিটি শিল্পী শুভেন্দু সরকারকে দিয়ে বালেশ্বরী কালো পাথরের তৈরি করানো হয় বড়মার মূর্তি। তার উচ্চতা সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি, চওড়া পাঁচ ইঞ্চি। এই মূর্তির চালচিত্রও তৈরি হয়েছে পাথর দিয়ে। মায়ের গায়ে অলংকার তৈরি করা হয়েছে পাথর খোদাই করে। আর সেই মূর্তি এবছর অভিষেকের হাত দিয়ে মমতার জন্য পাঠাতে তৎপর মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এবার বড়মার মন্দিরে ভিড় মোকাবিলার বন্দোবস্ত প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা জানিয়েছেন, “ভিআইপি পুজো দেওয়ার সময়েও আগত ভক্তরা সুষ্ঠ ভাবে পুজো দিতে পারবেন। প্রতিদিনই প্রায় এক হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে বড়মার মন্দিরে।” প্রসঙ্গত, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন বড়মার কাঠামো পুজোর পর থেকেই গঙ্গায় স্নান করে দণ্ডী কাটতে শুরু করেছেন ভক্তরা। যত দিন যাচ্ছে, দণ্ডী কাটার সংখ্যাও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই হুগলির মগড়া থেকে এক ভক্ত দণ্ডী কেটে বড়মার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এছাড়াও শ্যামনগর থেকে দণ্ডী কেটেও বড়মার কাছে আসছেন আরেক ভক্ত।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে পুজো নেওয়ার একটি কাউন্টার ও ১৭ অক্টোবর থেকে তিনটি পুজো গ্রহণের কাউন্টার খোলা হয়েছে। সোমবার পুজোর দিন ভক্তদের সুবিধার্থে থাকবে পুজো গ্রহণের চারটি কাউন্টার। বড় কালীপুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অঞ্জলি শেষ হতেই নৈহাটি বয়েজ স্কুল ও নৈহাটি মহেন্দ্র স্কুলে সন্দেশ প্রসাদ বিতরণ হবে। যাঁরা কুপন পাবেন, তাঁরা এই প্রসাদ নিতে পারবেন।