• কালীপুজোর আগের রাতে বারাসতে জনপ্লাবন, ভিড় সামলাতে তৎপর পুলিশ
    প্রতিদিন | ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: শক্তির আরাধনায় গত শুক্রবার থেকেই জনপ্লাবনে ভাসতে শুরু করেছে শ্যামাপুজোর পীঠস্থান বারাসত। কিন্তু আলোর উৎসবে সামিল হতে এসে কৃত্রিম যানজটের অভিযোগে মন ভাঙছে দর্শনার্থীদের। যানজট সামাল দিতে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদরে চলা বিধিনিষেধের সঙ্গে পুলিশের বাড়তি সংযোজনকেই দোষ দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

    শ্যামা পুজোর শহর বারাসতে এবছর ১৭ অক্টোবর পুজোর উদ্বোধনের দিন থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়েছে। শহরের বড় পুজোগুলি রয়েছে মূলত ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায়। আজ, সোমবার থেকে এই রাস্তা ধরে কলকাতা থেকে আসলে নো-এন্ট্রি থাকবে রথতলায়। তবে কৃষ্ণনগর থেকে আসলে কোনো নো-এন্ট্রি নেই, জাতীয় সড়কের এই অংশে ‘ওয়ান ওয়ে’ করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার থেকেই পুলিশকে যাননিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায়। জায়গায় জায়গায় পুলিশের চেকিংয়ের কারণে খেসারত দিতে হচ্ছে নবপল্লীর আমরা সবাই, নবপল্লী সার্বজনীন, তরুছায়া, জাগৃতি, সাউৎ ভাটরা পুজো সংলগ্ন বাসিন্দা সহ অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার কর্মীদের। আঁধার কার্ড বা সচিত্র পরিচয় পত্র থাকলে এলাকাবাসীকে ছাড় দেওয়ার কথা পুলিশের তরফে জানানো হলেও রবিবার তা মানা হয়নি বলেই অভিযোগ।

    শনিবার পুজো উদ্বোধনে এসে যানজটে আটকাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে তো বারাসত ১১ নম্বর রেলগেট থেকে তরুছায়ার পূজোয় যেতে হয়েছিল পায়ে হেঁটে। এনিয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রশাসনিক বৈঠকে ১৭ এবং ১৮ তারিখ বারাসতের বড়পুজো গুলির উদ্বোধন ও তাতে ভিআইপিরা আসবেন জানানো হয়েছিল। তারপরেও মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের ভোগান্তিতে পড়া কাম্য ছিল না।” চূড়ান্ত এই যানজটের কারণে ১১নম্বর রেলগেট ফেলতে না পারায় শনি ও রবিবার একাধিক ট্রেন দেরিতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য সম্পর্ক আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছেন, “রাজ্য পুলিশ যাননিয়ন্ত্রণ ঠিকঠাক করলে রেল চলাচলে সুবিধা হয়।” যদিও এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)