পাটনা: ২৪৩ আসন। দু’দফায় হবে লড়াই। বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধী শিবির। এরইমধ্যে বিভিন্ন দলের প্রার্থীতালিকা নিয়েও শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আর স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গও। এ বিষয়ে বিরোধীদের উঠতে বসতে নিশানা করে বিজেপি। বিহারে ভোটের প্রার্থীতালিকা থেকে স্পষ্ট পরিবারতন্ত্রের রমরমার বিষয়টি স্পষ্ট। ব্যতিক্রম নয় বিজেপিও। বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রভাবশালীদের স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, বউমা বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
এব্যাপারে সবার আগেই উঠে আসে আরজেডির তেজস্বী যাদবের নাম। দলের সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের ছোটো ছেলে তেজস্বী। লালুর পর মূলত তাঁর হাতেই রয়েছে দলের যাবতীয় দায়িত্ব ও ক্ষমতা। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী শকুনি চৌধুরীর ছেলে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। বিহার ভোটে বিজেপির অন্যতম মুখ তিনি। রঘুনাথপুরের আরজেডি প্রার্থী ওসামা সাহাবের বাবা মহম্মদ সাহাবউদ্দিনও বিহার রাজনীতির পরিচিত মুখ ছিলেন। প্রথমে গ্যাংস্টার। পরের দিকে বিহার রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন মহম্মদ সাহাবউদ্দিন। এখানেই শেষ নয়। সাসারামের প্রার্থী স্নেহলতা রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার প্রধান উপেন্দ্র কুশওয়াহর স্ত্রী। ঝাঁঝরপুরের বিজেপি প্রার্থী নীতীশ মিশ্র আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রের ছেলে। ইমামগঞ্জের প্রার্থী দীপা মাঝি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতনরাম মাঝির বউমা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, বর্তমানে নির্বাচনের হাতিয়ার হল অর্থ, ক্ষমতা আর প্রভাব। প্রার্থীদের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সেই ‘ইমেজ’ কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি। চাপা পড়ে যাচ্ছে সাংবিধানিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক আদর্শ।