বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ফের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কুকথা গিরিরাজের
বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৫
পাটনা: ভোটমুখী বিহারে ফের চেনা মেজাজে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে কুকথা বলে ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি। আর এভাবেই ভোটের প্রচারে মেরুকরণের অস্ত্রে শান দিলেন বিজেপি সাংসদ।
শনিবার বিহারের আরওয়াল জেলায় একটি জনসভায় গিরিরাজ সংখ্যালঘুদের ‘নমক হারাম’ বলে তোপ দাগেন। বেগুসরাইয়ের এই বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমি একজন মৌলবিকে জিজ্ঞাসা করলাম, আয়ুষ্মান ভারত কার্ড পেয়েছেন? তিনি বললেন— পেয়েছি। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ভিত্তিতে সেই কার্ড দেওয়া হয়নি বলেও স্বীকার করেন। এমনকী তিনি আমাকে ভোট দিয়েছেন বলেও দাবি করেন। তখন আমি তাঁকে খোদার নামে শপথ করে সেই কথা বলতে বলি। তখন তিনি তা করতে অস্বীকার করেন। এই ধরনের লোকদের নমক হারাম বলে। আমি তাঁকে বললাম— এমন নমক হারামদের ভোট আমি চাই না।’
তিনি আরও বলেন, বিহারে এনডিএ সরকারের আমলে পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে। তার সুবিধা পাচ্ছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। এতকিছুর পরেও মুসলিমরা বিজেপি সরকারকে ভোট দেয় না। গিরিরাজের কুকথাকে সমর্থন করে জেডিইউয়ের মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার জনকল্যাণমূলক কাজে এবং উন্নয়নের কাজে কোনও বৈষম্য করে না। এরপরেও তারা নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ভোট পায় না। এটা উদ্বেগের। গিরিরাজ তাঁর পছন্দের শব্দ ব্যবহার করে বক্তব্য রাখতেই পারেন।’ যদিও গিরিরাজের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিহারের আরজেডির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মসুলিম বিভাজন ছাড়া বিজেপি নেতারা আর কিছু বলতেই পারেন না, এটা সকলেই জানে। তারা বেকারত্ব নিয়ে কথা বলেন না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়েও নীরব থাকেন।’ অন্যদিকে পূর্ণিয়ার নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব বলেন, ‘গিরিরাজবাবুর অবশ্যই সকলকে জানানো দরকার, ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে কারা ব্রিটিশদের সমর্থন করেছিল।’