• আতশবাজি থেকে গরিব রথ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা? রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১। এই চারটি আর্থিক বছরে সারা দেশে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৫৭টি। অর্থাৎ, প্রত্যেক আর্থিক বছরে গড়ে প্রায় ১৫ বার ট্রেনে আগুন লেগেছে। রেল যাত্রীদের প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। এই সহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেলের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে ১৫ কোটি টাকারও অনেক বেশি। শনিবারই পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে বিহারগামী একটি গরিব রথ এক্সপ্রেসে আগুন লাগে। ঘটনায় কোনও প্রাণহানি না হলেও আহত বেশ কয়েকজন যাত্রী। আর এই আবহেই চর্চায় উঠে এসেছে ক্যাগের এসংক্রান্ত  রিপোর্ট। 

    তবে শুধুমাত্র অগ্নিকাণ্ডের খতিয়ান প্রকাশ করা নয়। রিপোর্টে বিভিন্ন দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেসে ট্রেনের নন-এসি কোচে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও রেলমন্ত্রককে সতর্ক করেছিল ক্যাগ। বলা হয়েছিল, বহু ট্রেনের নন-এসি কোচে অগ্নি নির্বাপণের জন্য যথাযথ এবং পর্যাপ্ত বন্দোবস্তই নেই। শনিবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সামগ্রিক বিষয়কে তাই অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

     গরিব রথ এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল। ওই দুর্ঘটনার জেরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দীপাবলি এবং ছটপুজো উপলক্ষে ওই ট্রেনে বাড়িতে ফিরছিলেন রেল যাত্রীদের একটি বড় অংশ। তাদের একটি অংশের মালপত্রের সঙ্গে কি আতশবাজিও ছিল? তা থেকেই কি কোনওভাবে আগুন লেগে গিয়েছে? যদি আতশবাজিই থাকে, তাহলে তা নিয়ে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হল কীভাবে? কারণ নিয়মমতো ট্রেনে কোনওরকম দাহ্য পদার্থ বহন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রেল কর্মীদের নজরদারি কোথায় ছিল? রবিবার রেল বোর্ডের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্তকারী কমিটি যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। শীঘ্রই রেল বোর্ডের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, উৎসবের মরশুমে যাত্রী ভিড় সামাল দিতে সারা দেশে ১২ হাজারেরও বেশি স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, এত ট্রেনে নজরদারি চালানোর মতো পর্যাপ্ত কর্মী রেলের কাছে আদৌ আছে তো? 

    এরইমধ্যে মুম্বই থেকে বিহারের রক্সৌল যাওয়ার পথে কর্মভূমি এক্সপ্রেস থেকে পড়ে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে নাসিক রোড স্টেশনের কাছে এই ঘটনায় গুরুতর জখম আরও একজন। 
  • Link to this news (বর্তমান)