সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: দুর্যোগের পর ১০০ শতাংশ ছন্দে ফিরেছিল দেশের একশৃঙ্গ গন্ডারের আবাসস্থল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। বাকি ছিল শুধু হাতি সাফারি চালু করা। পর্যটকদের কাছে সুখবর আজ, সোমবার থেকে জাতীয় উদ্যানে শুরু হয়ে যাচ্ছে সেই হাতি সাফারিও। বনদপ্তর রবিবার রাতের দিকে সোমবার থেকে হাতি সাফারি চালুর কথা ঘোষণা করতেই পর্যটক ও স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। জাতীয় উদ্যানে হাতি সাফারির জন্য বনদপ্তরও পর্যটকদের স্বাগত জানিয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত জলদাপাড়ায় সাফারি রুট ও চারটি সেতুসহ সব পরিকাঠামো মেরামত করা হয়েছে। সোমবার থেকে জাতীয় উদ্যানে হাতি সাফারি চালু হচ্ছে। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে হাতি সাফারি করতে পারবেন। ৫ অক্টোবরের দুর্যোগে তোর্সা নদীর প্লাবনে ও ভুটানের ডলোমাইট মিশ্রিত পলিতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থা হয়েছিল জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীদের কয়েকশ হেক্টর তৃণভূমি। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জিপসি ও হাতি সাফারির রুটগুলি। কম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এরমধ্যে কোদালবস্তি, শালকুমার ও চিলাপাতা রুটের সাফারি রুটগুলি দ্রুত মেরামত করে ফেলতে সক্ষম হয় বনদপ্তর। কয়েক দিন আগে ওই তিনটি রুটে বনদপ্তর জিপসি সাফারি চালুও করেছিল। কিন্তু দুর্যোগে জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট ও তিতি রুটের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। দুর্যোগে এখানে চারটি সেতু উড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই রুট ও সেতুগুলি মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় এবার সোমবার থেকে সাফারি চালু হচ্ছে। জলদাপাড়ায় হাতি সাফারি হয় শালকুমার, কোদালবস্তি ও মূল প্রবেশদ্বার মাদারিহাট গেটের হলং রুট দিয়ে। সোমবার থেকে মাদারিহাট, শালকুমার ও কোদালবস্তি গেট দিয়ে একসঙ্গে হাতি সাফারি চালু হচ্ছে। জিপসি সাফারিও চালু হচ্ছে। পর্যটকদের হাতি সাফারির জন্য মাদারিহাটে চারটি, কোদালবস্তিতে একটি ও শালকুমারে দুটি প্রশিক্ষিত কুনকি হাতি আছে। সোমবার থেকে মাদারিহাট দিয়ে কার সাফারিও চালু হচ্ছে। জাতীয় উদ্যানে বনদপ্তরের হাতি সাফারির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বনদপ্তর। দুর্যোগের কারণে সাফারি বন্ধ থাকায় স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। বনদপ্তরের সোমবার থেকে হাতি সাফারির চালুর সিদ্ধান্তে তাঁরা খুব খুশি।