• লস্করপুর সর্বজনীন কালীমন্দির কমিটির পুজোর ২৫২ বছরে পা
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • সাগর রজক  মানিকচক

    রতুয়ার লস্করপুরে ২৫২ বছরের পুরনো কালীপুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হলেও উভয় সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন দেখা যায় এই পুজোয়। 

    রতুয়া দুই ব্লকের শ্রীপুর-২ পঞ্চায়েতের লস্করপুর গ্রামে হয়ে আসছে লস্করপুর সর্বজনীন কালীমন্দির কমিটির এই পুজো। আয়োজকদের দাবি, চাঁচলের রাজার অধীনে ছিলেন শ্রীপুরের জমিদার মহসিন হোসেন চৌধুরী।  এক রাতে  দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, লস্করপুরের মরা মহানন্দায় ভেসে আসা কাঠ তুলে অচিন গাছের নীচে কালীপুজো করার। সেই আদেশ অনুযায়ী পুজো শুরু হয়। পরবর্তীকালে জমিদারি শেষ হওয়ায় পুজোর দায়িত্ব নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্দির কমিটি গঠন করে চলছে পুজো। ২০০১ সালে স্থায়ীভাবে মায়ের পাকা মন্দির নির্মাণ করা হয়। রীতি অনুযায়ী কোজাগরী পূর্ণিমার দিন খুঁটিপুজোর মাধ্যমে প্রতিমার কাঠামো তৈরি শুরু হয়। উচ্চতা যাতে ১৮ ফুট হয়, সেই দিকটিও লক্ষ্য রাখেন উদ্যোক্তারা।  শ্রীপুর ২ পঞ্চায়েত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। পুজোয় সবরকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুসলিমরা। পুজোর ক’টা দিন সকলে মেতে ওঠেন আনন্দে। এবছর পুজোর সম্পাদক অলক কর্মকার, সভাপতি সোমেশ চন্দ্র অধিকারী এবং কোষাধ্যক্ষ তপু সরকার। এবার পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিমা গড়া হচ্ছে লস্করপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে। মণ্ডপসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। তিনদিনের মেলার আয়োজনও করা হয়। তবে, কাঠের মেলা চলে প্রায় একমাস। সম্পাদক অলক কর্মকার বলেন, এবছর ২৫২ বছরে পদার্পণ করল আমাদের পুজো। কোনও চাঁদা নেওয়া হয় না। এলাকাবাসীর দানেই সব কাজ হয়। এবার বাজেট প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। পুজোকে ঘিরে তিনদিনের মেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বাইরের আলোকসজ্জা। যা দর্শনার্থীদের তাক লাগাবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)