নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সিউড়ি-২ ব্লকের পুরন্দরপুরের বান্ধব সমিতির ৫৫ফুটের কালীপ্রতিমার উদ্বোধন করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির কনভেনর অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে কালীপুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি সকলের মঙ্গলকামনা করেন অনুব্রত। ছিলেন বিধায়ক নীলাবতী সাহাও। রবিবার কালীপুজোর উদ্বোধন দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ।
পুরন্দরপুরের বান্ধব সমিতির ৫৫ফুটের উঁচু কালী প্রতিমাই এই পুজোর সেরা আকর্ষণ। প্রতি বছরই বীরভূম জেলার মধ্যে সবচেয়ে উঁচু কালীপ্রতিমা তৈরি করে তারা। প্রতিমার টানে জেলার নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান এই পুজো মণ্ডপে। পুজোকে কেন্দ্র করে বান্ধব সমিতির মাঠে বিশাল মেলাও বসে। এছাড়া পুজোকে কেন্দ্র করে সাতদিন ধরে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় শিল্পীদের। প্রতিমার পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এদিন অনুব্রতকে দিয়ে সেই পুজোর উদ্বোধন করাতে পেরে উচ্ছ্বাসিত ক্লাব কর্তারা। ক্লাবের সহ সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অশ্বিনী মণ্ডল বলেন, কেষ্টদা পুজোর উদ্বোধন করলেন। মায়ের কাছে সবার মঙ্গল কামনা করলেন তিনি। রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে, মায়ের কাছে সেই প্রার্থনা করেছেন কেষ্টদা।
ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় ছোট প্রতিমাতেই কালীর আরাধনা করতেন ক্লাবের সদস্যরা। প্রায় ২৬ বছর আগে ক্লাবের সদস্যরা বড় আকারের কালী প্রতিমা করে জেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকেই বান্ধব সমিতির এই পুজো জেলাবাসীর আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর ৫০ ফুটের বেশি উঁচু প্রতিমা তৈরি করে থাকে তারা। এবছর মাটি থেকে মায়ের মুকুটের উচ্চতা ৫৫ ফুট। অশ্বিনী বলেন, প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমান। আশা করছি আগামী বছরগুলিতেও এভাবেই পুজো করে যেতে পারব। এদিন পুজো উদ্বোধনে অনুব্রত বলেন, এই ক্লাব এত পুরাতন ক্লাব আমি জানতাম না। জানলে অনেক কিছু করতাম। এখনও যা ক্ষমতা আছে, অনেক কিছু করব। মা কালীর কাছে কথা দিয়ে গেলাম। এদিন বিকালে মহম্মদবাজার-২ ব্লকের দেউচা শক্তি সঙ্ঘের কালীপুজোরও উদ্বোধন করেন অনুব্রত। জেলার আরও বেশ কয়েকটি কালীপুজোর উদ্বোধন হয়।