নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২০০২ সালের সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা বা ম্যাপিংয়ের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই কাজ করতে বেশ ভালোই সময় লাগছে বলে দাবি আধিকারিকদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র অর্ধেক ভোটারের নাম মিলিয়ে দেখা হয়েছে বলে খবর। পদ্ধতি নতুন। তাই কীভাবে কাজ করলে তাড়াতাড়ি ম্যাপিং করা যাবে, সেটাই এখনও অনেকে রপ্ত করতে পারেননি বলেই দেরি হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৮২ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম মিলিয়ে দেখার কথা। বুধবার পর্যন্ত হয়েছে প্রায় ৪৩ লক্ষ। বুথ লেভেল অফিসার, সুপারভাইজার, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার সহ বিভিন্ন নির্বাচনী কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে এই কাজের জন্য। যেসব কেন্দ্রে এখনও অনেকটাই কাজ বাকি, তার মধ্যে রয়েছে কসবা, যাদবপুর, মহেশতলা ও মেটিয়াবুরুজ বিধানসভা। এসব কেন্দ্রে এখনও ৫০ শতাংশ ভোটারের নাম মিলিয়ে দেখা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। দু’টি ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার পর প্রত্যেক ভোটারের ম্যাপিং সংক্রান্ত তথ্য পোর্টালে আপলোড করতে হচ্ছে। সেই কাজে অবশ্য অনেক কেন্দ্রই পিছিয়ে রয়েছে। এক নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, ‘কোথাও বিএলও ঢিলেমি করেছেন, কোথাও আবার নির্ভুল কাজ করতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে। এদিকে, কমিশন থেকে এই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকবার ডেডলাইন বদলেছে। ম্যাপিংয়ের পর্ব শেষ হলেই হয়তো স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) শুরু করবে কমিশন। তবে এটাও ঠিক, ১০০ শতাংশ ম্যাপিং করা সম্ভব হবে না। ফলে কতটা কাজ হলে তালিকা মিলিয়ে দেখার কাজ শেষ বলে ধরা হবে, তা স্পষ্ট নয়।’ জেলা আধিকারিকরা বলছেন, যতটা বেশি সম্ভব নাম মিলিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে। কোনও বিধানসভায় ৭০ শতাংশ কাজ হতে পারে, কোথাও ৮০ শতাংশ।