ঘর থেকে উদ্ধার শিশুর রক্তাক্ত দেহ, খুন সন্দেহে আটক দাদু-দিদা ও পরিচারিকা
প্রতিদিন | ২০ অক্টোবর ২০২৫
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আলোর উৎসবের মাঝে ঘোর আঁধার! সোনারপুরে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল চার বছরের শিশুকন্যার রক্তাক্ত দেহ। তার সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। খুন না অন্য কোনওভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। চার বছরের শিশুকে হত্যার সন্দেহে আটক করা হয়েছে শিশুকন্যার দাদু-দিদা ও বাড়ির পরিচারিকাকে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থল অর্থাৎ যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তা সিল করে দিয়েছে সোনারপুর পুলিশ।
ঘটনা রবিবার রাতের। সোনারপুর থানা এলাকার কোদালিয়ার কদমতলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চার বছরের মেয়ের রক্তাক্ত। তার নাম প্রত্যুষা কর্মকার। জানা যাচ্ছে, প্রত্যুষার মা এক নামী বৈদ্যুতিক বিপণিতে কর্মরত, বাবা একটি হাসপাতালের কর্মী। মা-বাবা দুজনেই সকালে রোজ কাজে বেরিয়ে যান। দাদু-দিদার কাছে থাকে প্রত্যুষা। এটাই তাদের রোজনামচা। কিন্তু রবিবার আচমকাই তাতে ছন্দপতন। দাদু-দিদার বাড়ি থেকেই প্রত্যুষাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে ঘটনাটি নজরে আসে বাড়ির কারও। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা ওই বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন, প্রত্যুষার দেহ মেঝেতে পড়ে আছে, চারপাশে চাপচাপ রক্ত! এমন শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য দেখে তাঁরা খবর দেন সোনারপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিশের দাবি, যখন এই কাণ্ড ঘটে, তখন ঘরে প্রত্যুষার দাদু-দিদা ও পরিচারিকা মহিলা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই কি কেউ খুন করেছেন? নাকি অন্য কোনওভাবে মৃত্যু হয়েছে প্রত্যুষার? যদিও তার সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন খুনের দিকে ইঙ্গিত করছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে সংশয় দূর করতে দাদু-দিদা ও পরিচারিকাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ওই শিশুর ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ওই বাড়িটি সিল করে দিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এনিয়ে এখনও মৃত শিশুর মা-বাবার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।