• মহিলাদের মিনি ম্যারাথন ‘রান ফর লাইট’, প্রশংসা জেলাশাসকের
    আনন্দবাজার | ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • ‘রান ফর লাইট’ নামে মহিলাদের মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘আজকের আরশিনগর’-এর উদ্যোগে। এই প্রতিযোগিতার প্রশংসা করলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি।

    চৌদ্দ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের জন্য আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। সহযোগিতায় ছিলেন জেলার ক্রীড়া আধিকারিক, পূর্ব বর্ধমান সাইকেলিং ক্লাব ও ‘মায়ের ভাণ্ডার স্বেচ্ছাসেবী’ সংস্থার সদস্য-সদস্যারা। বর্ধমানের উল্লাস মোড় থেকে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ স্কুল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বের এই দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন একশত জন। প্রতিযোগিনীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই জন্য ছিলেন চিকিৎসক ও পুলিশ। অ্যম্বুলেন্স পরিষেবার ব্যবস্থাও রাখা হয়। দীর্ঘ পথের বিভিন্ন জায়গায় ছিল স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্রীড়াপ্রেমীদের শিবির।

    আয়োজন প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, ‘‘এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রতিবছর এমন আয়োজন হলে মহিলারা মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর হবেন।’’ সংস্থার সভাপতি পার্থ চৌধুরী জানান, আজকের দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেয়েদের অগ্রগতিকে উদযাপন করার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন।’’ তিনি জানান, একসময় এই এলাকায় নারী-পুরুষ উভয়েই ইংরেজ ও নীলকর জমিদারদের অত্যাচারে ভুগতেন। কৌলিন্য প্রথার কারণে কিশোরী ও মহিলাদের জ্বলন্ত চিতায় পোড়ানো হত। বিভিন্ন রাজ্যে ধাত্রীদের দিয়ে সদ্যোজাত কন্যাকে হত্যা করা হতো। আজকের দিনে মহিলারা সমাজে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছেন, দেশ চালাচ্ছেন। সমাজকে আলোকিত করছেন। পার্থের আবেদন, সেই আলোর অভিযানের জয় হোক।

    প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন শম্পা গায়েন। তাঁকে মেডেল পরিয়ে তাঁর হাতে কুড়ি হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন জেলা শাসক। দ্বিতীয় স্থানাধিকারী জয়শ্রী দাসকে মেডেল ও দশ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার পান। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস। তৃতীয় স্থানাধিকারী পুষ্পারানি মাহাতোকে মেডেল ও পাঁচ হাজার টাকার পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা। এছাড়াও ৭ জনকে দু’ হাজার ও পাঁচ জনকে হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম তিন স্থানাধিকারীকে সুদৃশ্য ট্রফি, ২৫ জনকে পদক-সহ সমস্ত অংশগ্রহণকারীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ দিনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি তথা সাংবাদিক অপূর্ব দাস ও সম্পাদক অরূপ লাহা। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু, বর্ধমান রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক, একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার ঐশী ঘোষ দস্তিদার, মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণাভ চক্রবর্তী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৌমি দত্ত রায়।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)