ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় ধৃত ছ’জনের মধ্যে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু ধারা যোগ করল পুলিশ। দুর্গাপুরে ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলার কথা থাকলেও, রবিবার ওই দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। তাদের জেল হেফাজতে পাঠিয়ে, সোমবার ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্রীকে ১০ অক্টোবর ক্যাম্পাসের বাইরে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর এক সহপাঠী ছাত্র ও লাগোয়া গ্রামের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ধৃত ছ’জনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণ, একই উদ্দেশ্যে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ ঘটানো, ছিনতাই এবং ভয় দেখিয়ে জোর করে অর্থ, সম্পত্তি বা সুবিধা আদায়ের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ রিয়াজউদ্দিন ও সফিক শেখ নামে দু’জন ধৃতের বিরুদ্ধে ওই সব ধারার পাশাপাশি, তোলাবাজি, অন্যায় ভাবে আটকে রাখা এবং মহিলার শালীনতা লঙ্ঘনের ধারা যোগ করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের সূত্রের দাবি, গোটা অপরাধের ঘটনাটি তিন ভাগে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমে ধর্ষণ, তার পরে গণধর্ষণ ও শেষে, টাকা আদায়ের চেষ্টা হয়েছিল, এমনটাই অনুমান। মামলাও সে অনুযায়ী সাজানো হচ্ছে। কেন শুধু আলাদা ভাবে এই দু’জনের বিরুদ্ধেই নতুন এই ধারাগুলি যোগ করা হল, সে বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা রবিবার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এই দুই ধৃতকে জেরা করে আর বিশেষ কোনও তথ্য মেলার সম্ভাবনা কম বলে ধারণা তদন্তকারীদের। তাই এ দিন আলাদা ভাবে তাদের আদালতে তোলা হয়। বাকি চার জনকে বুধবার আদালতে হাজির করানো হবে।