• কন্যাসন্তান বলেই কি ৫ বছরের প্রত্যুষাকে খুন? সোনারপুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার দাদু
    এই সময় | ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • কালীপুজোর আগের দিনে উদ্ধার হয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে প্রত্যুষা কর্মকারের মৃত্যু নিয়ে ঘনাচ্ছিল রহস্য। এ বার এই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার তার দাদু প্রণব ভট্টাচার্য। এলাকাবাসীর দাবি, প্রণবের দুই মেয়ে। তাঁর বড় মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বছর দশেক আগে। এর পরে ছোট মেয়ে অর্থাৎ প্রত্যুষার মায়ের কাছেই থাকতেন তিনি এবং তাঁর স্ত্রী। তবে পাড়ায় কান পাতলে শোনা যায়, কন্যাসন্তান পছন্দ করেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ছোট মেয়ের কন্যা সন্তান হওয়ায় প্রণবের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়েছিল প্রত্যুষার উপরে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

    প্রত্যুষার মা এবং বাবা দু’জনেই বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। রবিবার অন্যান্য দিনের মতো তাঁরা অফিসে গিয়েছিলেন। বাড়িতে দাদু, দিদা এবং আয়ার কাছেই ছিল ছোট্ট প্রত্যুষা। এ দিন সন্ধ্যায় হঠাৎ করে এই খুদের চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। তাঁরা তড়িঘড়ি শিশুটিকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসক প্রত্যুষাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তদন্তে নেমে প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রণব চেয়েছিলেন, ছোট মেয়ের পুত্রসন্তান হোক। তাঁর নিজের দুই মেয়ে। প্রায় বছর দশেক আগে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাঁর বড় মেয়ের। ছোট মেয়ের কন্যাসন্তান হওয়ার বিষয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না প্রণব।

    প্রশ্ন উঠছে, দাদু প্রণবই কি প্রত্যুষাকে মারধর করেছিলেন? বাড়িতে আরও দু'জন থাকা সত্ত্বেও কেন কেউ এই খুদেকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন না? তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)