শিলিগুড়ি থেকে ২৫ কিলোমিটার। সেবকেশ্বরী কালীপুজোর নাম শুনলেই অনেকের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে এখনও। কার্তিকী অমাবস্যার রাতে গোটা দেশ যখন একাধারে আলোর রোশনাইয়ে মেতে থাকে, তখন সভ্য জগত থেকে খানিকটা আড়ালেই পাহাড়ি পাথরের খাঁজে মায়ের আরাধনায় বসেন সেবকেশ্বরী মায়ের সেবায়েত। গা ছমছমে আবহের সঙ্গে ঢাকের বাদ্যি মিলে একটা আলাদা অনুভূতির জন্ম দেয়। মন্দিরে মায়ের আরাধনা দেখেন তখন কয়েক হাজার লোক।
কার্তিকী অমাবস্যার রাতে পাহাড়ি পথে বিপদসঙ্কুল চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মন্দিরে শহরের পুজোর চাকচিক্য, জৌলুস হেলায় ত্যাগ করে বহু ভক্ত হাজির হন সেবকে। রাত জেগে পুজো দেখেন। কালীপুজোর রাতেও ঘোর অমাবস্যায় তখন উপচে পড়া ভিড়। তিলধারণের জায়গা থাকে না। যে সেবক পাহাড় সূর্য ডুবলেই গা ছমছমে হয়ে যায়, সেখানে রাতভর থাকে ভক্তদের ভিড়। সকালে প্রসাদ নিয়ে তারপর মন্দির ছাড়েন ভক্তরা। কবে কখন কীভাবে হবে পুজো, কখন গেলে পুজো দিতে পারবেন বা সাক্ষী থাকতে পারবেন তা জেনে নিই