নৈহাটির বড়মা-র পুজো এবার ১০২ বছরে পা দিল। এবার ৫০ ভরি সোনা এবং ১৫০ কেজি রুপোর গয়নায় সেজে উঠেছেন বড়মা। পুজো শুরু হবে সোমবার রাত ১২টা থেকে। রাত ২টা ৩০ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি শুরু হবে। পুষ্পাঞ্জলির ফুল আনতে হবে ভক্তদের নিজেদেরই। অঞ্জলি শেষে শুরু হবে ভোগ প্রসাদ বিতরণ, যা চলবে রাত ৩টা থেকে পরের দিন অর্থাৎ ২১ অক্টোবর সকাল ১০টা পর্যন্ত।
মায়ের ভোগ হিসেবে থাকবে পাঁচরকম ভাজা, পাঁচমিশালি সব্জি, খিচুড়ি, পোলাও, আলুর দম, সাদাভাত, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। হবে হবে ৩ হাজার কেজি ভোগ। ১০০ কেজি ময়দার লুচি ভোগ হিসেবে দেওয়া হবে। তবে সোমবার ভোর থেকেই বড়মার মূর্তির সামনে দণ্ডি কাটা শুরু হয়েছে। কাঠামো পুজোর পর থেকেই গঙ্গায় স্নান করে দণ্ডি কাটতে শুরু করেছেন ভক্তরা। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এটি চলবে।
২১ ও ২২ অক্টোবর, এই দু’দিন দুপুর ও রাতে আবার পুজো হবে। ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন হবে। ২৪ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৭টায় হবে নিরঞ্জন পুজো ও দধিকর্মা। বিকেল ৪টেয় গঙ্গার পথে বেরোবে বড়মার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা। পুজো উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বড়মার মন্দির পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে।
বড়মা-র পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে গোটা মন্দির চত্বর। প্রায় ৩০০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন দর্শনার্থীদের সাহায্যের জন্য। ৮০টির বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। গঙ্গার ঘাট, মন্দির এলাকা ও নৈহাটি স্টেশন চত্বরে থাকছে এলইডি স্ক্রিন, যাতে মানুষ ভার্চুয়ালি পুজো দেখতে পারেন।