হিলিতে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ অক্টোবর ২০২৫
নয়ানজুলির ওপর সেতু বানানোর জন্য কেনা হয়েছিল হিউমপাইপ। কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় রাস্তার ধারেই পড়েছিল পাইপগুলি। অভিযোগ, সেগুলিই বেচে দিয়েছেন বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার ধলাপাড়া-৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাবরা এলাকার। যদিও পাইপ বিক্রির বিষয়টি মানতে চাননি বিজেপির ওই পঞ্চায়েত সদস্য। গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, কাজ বন্ধ বলে সরকারি নির্মাণসামগ্রী কীভাবে একজন পঞ্চায়েত সদস্য এভাবে বেচে দিতে পারেন?
হিলি থানার ধলাপাড়া-৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাবরা এলাকায় একটি সেতু তৈরির কথা ছিল। সেই জন্য কিছু টাকা বরাদ্দও করা হয়। তবে তিন বছর পেরোলেও সেই সেতু তৈরি হয়নি। এদিকে, সেতু তৈরির জন্য সরকারি টাকায় কেনা বেশ কয়েকটি হিউমপাইপ কেনা হয়েছিল। সেগুলি ওই এলাকাতেই রাখা ছিল। সেই হিউমপাইপগুলিই বেআইনিভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।
অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুচিত্রা বর্মন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে শ্মশান এলাকায় পাইপগুলো পড়ে ছিল। আমি প্রধানের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিয়েই তা এলাকাবাসীকে দিয়েছি। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি।’ যাঁরা ওই হিউমপাইপগুলো নিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্যও একই। ধলাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বীথিকা ঘোষ বলেন, ‘আমি নিজে পাইপগুলো দেখিনি। বাসিন্দারা নেওয়ার পরে বিষয়টি নজরে আসে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিউমপাইপ যথাস্থানে ফেরত দিতে বলেছি।’
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে ধলাপাড়া-৩ গ্রাম পঞ্চায়েতে ত্রিমোহিনী-পতিরাম রাজ্য সড়কের সঙ্গে ডাবরা শ্মশানকে যুক্ত করতে মাঝের নয়ানজুলিতে সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই সময় বড় আকারের চারটি হিউমপাইপ কেনে পঞ্চায়েত। কিন্তু কোনও অজানা কারণবশত সেতু তৈরির কাজ থমকে যায়। তারপর থেকে দীর্ঘদিন ওই পাইপগুলি রাস্তার পাশে পড়েছিল। বছরখানেক আগে একটি হিউমপাইপ নিয়ে যান এক ব্যক্তি। আর দিন কয়েক আগে রীতিমতো ক্রেন নিয়ে এসে দুটি হিউমপাইপ নিয়ে যান স্থানীয় দুই ব্যক্তি।