সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপাবলির আগেই দিল্লিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল প্রশাসন। তারপরেও এড়ানো গেল না ধোঁয়াশা! বিষাক্ত বায়ুতেই দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাল দেশের রাজধানী শহর। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দিল্লির বাতাসের গুণমান অর্থাৎ একিউআই সর্বোচ্চ ৩৩৫-এ পৌঁছায়, যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকার গড় একিউআই ছিল ৩০০।
বাড়তি দূষণের কথা মাথায় রেখেই দীপাবলিতে দিল্লিতে শর্তসাপেক্ষে সবুজ আতশবাজিতে ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দিওয়ালি উপলক্ষে শনিবার থেকেই বাজি পোড়ানোর অনুমতি ছিল। শনিবার সারাদিন এবং রাতেও বাজি পোড়ায় শহরবাসী। তাতেই ভয়ংকর পরিণতি হল রাজধানীর। বাতাসের গুণমান ৩০০ পেরিয়ে ‘খুব খারাপ’ পরিস্থিতি। রবিবার রাতেই দেখা যায় ৩৮টি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টিতে বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপে’ পৌঁছে গিয়েছে।
রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, সোমবার ভোরে দিল্লিতে বায়ুদূষণ সর্বোচ্চ ছিল আনন্দ বিহারে। সেখানে এক সময় একিউআই ৪১৭ অর্থাৎ ‘ভয়ংকর’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। এরপর ছিল যথাক্রমে নয়া দিল্লি এলাকা (৩৬৭), গাজিয়াবাদের বিজয় নগর (৩৪৮), নয়ডা (৩৪১), নয়ডা সেক্টর ১ (৩৪৪) এবং গুরুগ্রাম (২৮৩)।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বাতাসের গুণমান ‘খুব খারাপ’ হতেই জিআরএপি-২ চালু করেছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ (সিএকিউএম)। জিআরএপি হল ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ অর্থাৎ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ। জিআরএপি-২ কার্যকর থাকাকালীন রাস্তায় জল ছেটানো হয়ে থাকে। জেনারেটরের ব্যবহার কমাতে বিদ্যুতের জোগান বৃদ্ধি করা হয়। নাগরিকদের নিজের গাড়ির ব্যবহার কমাতে পার্কিংয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয় ইত্য়াদি। যদিও পরিবেশবিদরা প্রশ্ন তুলছেন, সবুজ বাজিতে কীভাবে এতখানি দূষণ হতে পারে? আদৌ কি রাজধানীবাসী শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মান্য করেছে?