সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস সরকারের আপত্তিকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে সংঘকে মিছিলের অনুমতি দিল কর্নাটক হাই কোর্ট। আগামী ২ নভেম্বর কালবুরগি জেলার চিত্তাপুরে নিয়ম মেনে মিছিল করতে পারবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস। ফলে মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খাড়গের তরফে আরএসএসের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জির পালটা তাঁর কেন্দ্র চিত্তাপুরেই শক্তিপ্রদর্শন করতে চলেছে সংঘ।
সংঘের মিছিলে কাঁচি চালাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি সিদ্দারামাইয়া সরকার। মিছিলের অনুমতি বাতিল করার পাশাপাশি খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানান, সনাতনী মিছিলে আবেদন না জানানোর জন্য। অভিযোগ করেন, আরএসএস সর্বদা আম্বেদকর ও সংবিধানের বিরোধিতা করে এসেছে। এই অবস্থায় মিছিলের অনুমতি পেতে হাই কোর্টে আবেদন জানান কালবুরগির আরএসএস আহ্বায়ক আশোক পাটিল। ১৯ তারিখের পরিবর্তে ২ নভেম্বর মিছিল করার অনুমতি চাওয়া হয়। রবিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এমজিএস কামাল সরকারের কাছে জানতে চান, রাজ্য কীভাবে এই ধরনের মিছিল নিয়ন্ত্রণ করে? একইসঙ্গে সবার অনুভূতিকে সম্মান দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। হাই কোর্টের অনুমতির ফলে মিছিল করতে আর কোনও বাধা থাকছে না সংঘের।
একইসঙ্গে হাই কোর্টের তরফে আবেদনকারীকে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের কাছে ফের আবেদন জমা করার। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ অক্টোবর। আদালত জানিয়েছে, প্রশাসন এমনভাবে বিষয়টির সমাধান করে যেখানে সবার অনুভূতিকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। আদালতের নির্দেশ আসার পর যারপরনাই খুশি সংঘ। সংঘ নেতা অশোক বলেন, “আদালত স্পষ্ট বলেছে, যদি সব মিছিল শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তবে চিত্তাপুরে অনুমতি নে আদেওয়ার কোনও কারণ নেই।”
উল্লেখ্য, শতবর্ষ প্রাচীন সংগঠন আরএসএসের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়াঙ্ক খাড়গে। তাঁর অভিযোগ ছিল আরএসএস অসাংবিধানিক কার্যকলাপে জড়িত। দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি স্বরূপ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, রাজ্যে এই সংগঠনের সমস্ত কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হোক। জনসমক্ষে অর্থাৎ কোনও স্কুল, খোলা মাঠে এদের যেন কোনও সভার অনুমতি না দেওয়া হয়। এমনকী সরকারি স্থানে আরএসএসের যাবতীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। খাড়গে বলেছেন, আরএসএস তার কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের শিশু ও যুবদের মনে ঘৃণার বীজ বপন করে। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই এই সংগঠনের কর্মীরা লাঠি ব্যবহার করে বলে অভিযোগ তাঁর। সেই চিঠি মুখ্যসচিবকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দেন। এর পালটা এবার প্রিয়ঙ্কের গড়েই মিছিল করতে চলেছে আরএসএস।