• Paris Firing: বড়দিনের মুখে বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত প্যারিস, মৃত ২
    এই সময় | ২৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • বড়দিনের মুখে রক্তাক্ত ফ্রান্স। প্যারিসে বন্দুকবাজের হামলা। শুক্রবার গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে মধ্য প্যারিসের একটি জনবহুল এলাকা। এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় অন্তত দু’জনের। গুলিবিদ্ধ হন আরও চারজন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা সংকটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও অনুমান ফরাসি প্রশাসন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুক্রবার প্যারিসের আহমেদ কায়া কুর্দিশ সংস্কৃতি সেন্টারে হামলা চালায় ওই প্রৌঢ় বন্দুকবাজ। নিমেষে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ইউরোস্টার মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে হামলাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তদন্তকারীদের দাবি, হামলাকারী একজন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেন চালক। কেন তিনি হামলা চালিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে হামলার নেপথ্যে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে বলে অনুমান ফরাসি পুলিশের। তাঁদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছেন তাঁরা। এদিন ঘটনার পর পরই প্রশাসনের তরফে টুইট করা হয়। সেখানে সবাইকে ঘরের মধ্যে থাকতে বলা হয়েছে। এই হামলার নেপথ্যে কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ওই ব্যক্তি। অন্তত ৭-৮ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে দাবি তাঁদের। শুধু তাই নয়, হামলার সময় সকলের মাথায় লক্ষ্য করে ওই ব্যক্তি গুলি চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ। তবে হামলাকারী কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে নববর্ষের সময় ফ্রান্সের নিস শহরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় স্কুলের শিশুদের একটি ট্রেলার দিয়ে পিষে দেয় সন্ত্রাসবাদীরা। আবারও শীতে ছুটির মরশুমে বন্দুকবাজের হামলা হল ফ্রান্সে।

    অন্যদিকে শুক্রবারই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে ইসলামাবাদে। এদিন পাকিস্তানের রাজধানীর জনবহুল এলাকায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পাক প্রশাসন সূত্রে খবর, নাকা চেকিংয়ের সময় সন্দেহ হওয়ায় একটি গাড়িকে দাঁড় করান পুলিশ কর্মীরা। সন্দেহভাজনকে গাড়ি থেকে নামতে বলতেই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় এক পাক পুলিশ কর্মী-সহ মোট ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পাক প্রশাসন। ইসলামাবাদের হামলার নেপথ্যে তেহেরিক ই তালিবান পাকিস্তান বা TTP জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও সরকারিভাবে এই নিয়ে মুখ খোলেনি পাক প্রশাসন।
  • Link to this news (এই সময়)