সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮ পাতার সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মঘাতী’ বেঙ্গালুরুর এক ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ‘ওলা’য় কর্মরত ছিলেন। সুইসাইড নোটে তিনি সংস্থার মালিক ভাবীশ আগরওয়াল এবং একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়ে গিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই ভাবীশের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কে অরবিন্দ। তিনি বেঙ্গালুরুর চিক্কালসান্দ্রা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিজের ফ্ল্যাটেই তিনি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। অরবিন্দর মৃত্যুর কয়েকদিন পরই সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেন তাঁর ভাই। কীভাবে তিনি কর্মক্ষেত্রে হেনস্তার শিকার হতেন, সুইসাইড নোটে সেকথা বিস্তারিত জানিয়েছন অববিন্দ। তাঁর অভিযোগ, সংস্থার মালিক এবং একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক দিনের পর দিন তাঁকে মানসিক হেনস্তা করতেন। এমনকী নিয়মিত তাঁকে বেতন দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ করেছেন অরবিন্দ। সুইসাইড নোটে সুব্রতকুমার দাস নামে আরও এক উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধেও হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন অরবিন্দ। এরপরই মৃতের নাম ভাই ভাবীশ এবং সংস্থার অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অরবিন্দর ভাইয়ের দাবি, অরবিন্দর মৃত্যুর দু’দিন পর রহস্যজনকভাবে পর তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রায় ১৭ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা করা হয়। এব্যাপারে ‘ওলা’-কে জিজ্ঞাসা করা হলেও তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর পর সংস্থার তরফে তিন প্রতিনিধি তাঁদের বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরাও এব্যাপারে কোনও সাহয্য করতে পারেনি।
সোমবার ‘ওলা’ একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অরবিন্দর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু অরবিন্দ কখনওই কর্মস্থলে কোনও হয়রানির অভিযোগ করেননি। তাঁর সঙ্গে সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের কোনও যোগাযোগ ছিল না।’ সংস্থার তরফে কর্ণাটক হাই কোর্টে পালটা একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে খবর।