গভীর রাতে লোকালয়ে হাতির হানা, মালবাজারে বৃদ্ধকে শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড়! মৃত্যু
প্রতিদিন | ২১ অক্টোবর ২০২৫
অরূপ বসাক, মালবাজার: ফের হাতির হানায় মৃত্যু। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের পানঝোরা বসতিতে। মৃত ব্যক্তির নাম কাঞ্চা তামাং। ঘটনায় ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ভারী বৃষ্টি, হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। জঙ্গল থেকে বুনো হাতি, গন্ডার-সহ অন্যান্য পশু বিভিন্ন জায়গায় লোকালয়ে ঢুকেও পড়েছিল। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ক্রমে ছন্দে ফিরছে উত্তরবঙ্গ। তবে বিভিন্ন জায়গায় লোকালয়ে হাতির হানার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। পানঝোরা বসতিতেও একইভাবে গতকাল রাতে হাতি হানা দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় দু’টো নাগাদ চাপরামারি জঙ্গল থেকে একটি বুনো হাতি বেরিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে কাঞ্চা তামাং-এর ধানখেতে। সেকথা জেনে রাতেই হাতিটিকে তাড়াতে বছর ৬১-এর ওই বৃদ্ধ স্থানীয় আরও কিছু বাসিন্দার সঙ্গে ধানজমিতে গিয়েছিলেন। আচমকাই হাতিটি তাঁদের দিকে তেড়ে যায়। অন্যরা পালিয়ে গেলেও কাঞ্চা তামাং বয়সজনিত কারণে পালাতে পারেননি। হাতিটি তাঁকে শুঁড় দিয়ে তুলে মাটিতে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে নাগরাকাটা থানার পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে। আজ, সোমবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় প্রায়ই বন্য হাতির উপদ্রব দেখা যায়। কিন্তু বনদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়রা হাতির যাতায়াত ঠেকাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার সজলকুমার দে জানান, বনদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, মৃতের পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ জানায়, তা উপরমহলের কাছে পাঠানো হবে।