দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সোনারপুর কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, জেরায় নাতনিকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে দাদু। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করত না। বিরক্ত করত নাতনি। গোটা ঘটনার পুলিশের অনুমান, মানসিক সমস্যা রয়েছে বৃদ্ধের। সেই কারণেই এই ভয়ংকর কাণ্ড!
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। সোনারপুর থানা এলাকার কোদালিয়ার কদমতলার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় চার বছরের মেয়ে। তার নাম প্রত্যুষা কর্মকার। জানা যায়, প্রত্যুষার মা এক নামী বৈদ্যুতিক বিপণিতে কর্মরত, বাবা একটি হাসপাতালের কর্মী। মা-বাবা দুজনেই সকালে রোজ কাজে বেরিয়ে যান। দাদু-দিদার কাছে থাকে প্রত্যুষা। এটাই তাদের রোজনামচা। কিন্তু রবিবার আচমকাই তাতে ছন্দপতন। দাদু-দিদার বাড়ি থেকেই প্রত্যুষাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। প্রথমে ঘটনাটি নজরে আসে বাড়ির কারও। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা ওই বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। ছুটে গিয়ে দেখেন, প্রত্যুষা মেঝেতে পড়ে আছে, চারপাশে চাপচাপ রক্ত! এমন শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য দেখে তাঁরা খবর দেন সোনারপুর থানায়। পুলিশ গিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরই আটক করা হয় নাবালিকার দাদু-দিদাকে। তাতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, লাগাতার জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নাবালিকার দাদু। তিনি জানিয়েছেন, বাড়িতে সারাদিন নানাভাবে জ্বালাতন করত প্রত্যুষা। খাওয়াদাওয়া করত না ঠিক করে। কথা শুনতো না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা বাড়ছিল। অবশেষে রবিবার তাঁর ধৈর্য্য সীমা অতিক্রম করে যায়। তখনই একটি ছুরি নিয়ে নাকি নাতনির উপর চড়াও হয় বৃদ্ধ। এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের ব্যবহার ভালো ছিল না। অনেকেরই সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। পুলিশের অনুমান, মানসিক সমস্যা ছিল ওই বৃদ্ধের। সেই কারণেই এই ভয়ংকর কাণ্ড।