বিএলও-রা গ্রামে গেলে সঙ্গে যান, নিদান তৃণমূল সাংসদের! মস্তানি করলে লাঠি-গুলি খেতে পারেন, হুঁশিয়ারি বিজেপির
আনন্দবাজার | ২০ অক্টোবর ২০২৫
ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে উত্তাল বঙ্গ-রাজনীতি। এ সবের মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলেন, বুথ লেভেল অফিসারেরা (বিএলও) গ্রামে গ্রামে গেলে তাঁদের সঙ্গে যান। তাঁদের গতিবিধির উপর নজর রাখুন। কারও নাম বাদ গেলেই আন্দোলন গড়ে তুলুন। সাংসদের এই মন্তব্যের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল বিজেপিও।
বাঁকুড়ার সিমলাপালের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের এসআইআর নিয়ে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ। তাঁর দাবি, ‘‘সারা রাজ্যে এসআইআর-এর নামে এক কোটি মানুষের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তা রুখতে সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিএলও কর্মীরা গ্রামে গেলে তাঁদের সঙ্গে দলের বুথস্তরের কর্মীদেরও যেতে হবে। একটি নামও যাতে বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁর ফর্ম নিয়ে দলীয় কর্মীদেরই পূরণ করে বিএলও র কাছে জমা করতে হবে।’’
পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনেও সাংসদ বলেন, ‘‘অনেকে অসুস্থতা, লেখাপড়া বা কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন। বিএলও-রা ভোটারের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অনুপস্থিত দেখে ভোটার তালিকায় তাঁদের অনুপস্থিত হিসাবে দেখিয়ে দেবেন, তা হতে পারে না। এ জন্যেই দলের কর্মীদের বিএলও-র সঙ্গে বাড়িতে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলা
পাল্টা বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘বিএলও-দের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা কি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি মস্তানি করতে যাবেন? নির্বাচন কমিশনের হয়ে বিএলও-রা গ্রামে যাবেন। সেখানে কেউ মস্তানি করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি মিলতে পারে। মিলতে পারে গুলিও। তাই সাংসদের কথা শুনে বিএলও-দের সঙ্গে থাকার আগে অন্তত পাঁচ বার ভাববেন।’’