পাটনা: প্রথম দফায় বিহারে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হাতে আর মাত্র ১৬ দিন বাকি। এরমধ্যেই বিরোধী ইন্ডিয়া শিবিরের অন্তর্কলহ সামনে চলে এল। সোমবার সাত সকালে ১৪৩টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আরজেডি। অন্যদিকে, তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস ৬১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। আর দুই দলের তালিকা সামনে আসার পর দেখা যাচ্ছে, কয়েকটি আসনে মুখোমুখি লড়াই এড়াতে পারছে না কংগ্রেস ও আরজেডি। ছ’টি আসনে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই হবে দুই শরিকের। এই আসনগুলি হল-বৈশালী, লালগঞ্জ, সিকান্দ্রা, কাহালগাঁও, সুতলতানগঞ্জ ও নরকাটিয়াগঞ্জ । এছাড়াও রোসেরা, রাজাপাকাড়, বাচওয়াড়া ও বিহার শরিফে কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক সিপিআইয়ের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে দেখা যাবে কংগ্রেস প্রার্থীদের। এছাড়া সিপিআই (এমএল)-এর রাজগীর আসনেও প্রার্থী রয়েছে কংগ্রেসের।
এই অবস্থায় জোটের অন্তর্কলহের কথা স্বীকার করে পরিস্থিতির জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকেই দুষেছেন স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতারা প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থ। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এমন কয়েকজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, যাঁদের কোনও যোগ্যতাই নেই।’ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’য়ের কথা বলে পরিস্থিতিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে তাতে বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়া যাচ্ছে না। বিরোধী শিবিরের এই অনৈক্য খুঁচিয়ে তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি (রাম বিলাস) নেতা চিরাগ পাসোয়ান। তাঁর সাফ কথা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ বলে কিছু হয় না। তাঁর দাবি, এই আসনগুলি এনডিএ প্রার্থীদের হাতে তুলে দিল বিরোধী শিবির। সোমবার পাটনায় চিরাগ বলেন, ‘এতবড় একটি জোটের তীরে এসে তরি ডুবে যাওয়ার মতো বিষয় আমি আগে কখনও দেখিনি। পছন্দের সিট নিয়ে টানাপোড়েন থাকতেই পারে। তবে কতগুলি আসনে লড়বে, সেটাও ঠিক করা গেল না!’
আরজেডির প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে, লালু পরিবারের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিতি রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে লড়বেন তেজস্বী যাদব। ২০২০ সালের থেকে এবার একটি কম আসনে লড়বে আরজেডি। তাঁদের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে ২৪ জন মহিলা এবং ১৮ জন মুসলিম প্রার্থী। -ফাইল চিত্র