বিহার নির্বাচন: লড়াইয়ের ময়দানে একঝাঁক উচ্চশিক্ষিত মহিলা
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৫
পাটনা: শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি হলেই এগোবে রাজ্য। স্রেফ কথার কথা নয়, বাস্তবে এই কাজ করে দেখাতে চান শিবানী, লতা, প্রিয়ারা। তিনজনই উচ্চশিক্ষিত। আর তাই শিক্ষার প্রসারকেই আগামীর লক্ষ করতে চেয়েছেন। তিনজনেরই দাবি, বিহারের মানুষকে স্পষ্ট ভাষায় বোঝাতে হবে শিক্ষার উন্নতি কতটা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজে লাগবে বলেই আশাবাদী তাঁরা।
লালুর দল আরজেডির হয়ে বৈশালী জেলার লালগঞ্জ কেন্দ্র থেকে লড়বেন শিবানী শুক্লা। তাঁর বাবা বিজয় কুমার প্রাক্তন বিধায়ক। তবে রাজনীতির ময়দানে সেই পরিচিতি কাজে লাগাতে চান না শিবানী। বরং তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতাকে সামনে রাখতে চান। শিবানী আইনের ছাত্রী। বেঙ্গালুরু থেকে এলএলবি(স্নাতক) পাস করে চলে গিয়েছিলেন ব্রিটেন। সেখনকার লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম(স্নাতকোত্তর) ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তবে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন রাজনীতি। তাঁর কথায়, প্রকৃত শিক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত। একইভাবে প্রশান্ত কিশোরের দলের প্রতীকে নালন্দা জেলার আস্থাওয়ান থেকে লড়ছেন লতা সিং। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী লতা, শিবানীর মতোই শিক্ষার আলো জ্বালাতে চান তাঁর রাজ্যে। লতার পরিবারেও অবশ্য রাজনীতির যোগ রয়েছে। তাঁর বাবা রামচন্দ্র প্রসাদ সিং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে সে পরিচয় উহ্য রাখতে পছন্দ করেন লতা। এঁদের মতোই উচ্চশিক্ষিত প্লুরালস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পুষ্পম প্রিয়ম চৌধুরী। লন্ডনের নামী কলেজ থেকে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে চাকরি বা অধ্যাপনাকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেননি প্রিয়ম। রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন। তাঁরও লক্ষ একটাই, শিক্ষার প্রসার।