• সুপ্রিম-নির্দেশের পরেও দূষণে মুখ ঢাকল দিল্লি
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ক্ষমতায় এলেই দূষণ কমিয়ে দেব। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এহেন ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। যদিও বর্ষা মোকাবিলার মতোই বিজেপির এই ‘জুমলা’ও মুখ থুবড়ে পড়ল। রবিবার রাত থেকেই নাগাড়ে পোড়ানো হল আতশবাজি। কার্যত সরকারি ‘মদতে’ই চলল সীমাহীন বাজির উৎসব। আর এর ফলে সোমবার, দীপাবলির সকাল থেকেই দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর ঢেকে গেল ধোঁয়াশার চাদরে। মাঝে কিছুক্ষণ বাজি না পোড়ায় মান কমলেও সন্ধ্যার মধ্যেই তা বাড়তে শুরু করে। পিএম-১০ এর হিসেবে রাত ১১টায় দিল্লির মাদার ডেয়ারি প্লান্ট, পটপরগঞ্জ, ইন্দিরাপুরম এমনকী গাজিয়াবাদেও একিউআই ছিল ৯৯৯। আর কে পুরম এলাকায় ৯০০ ছাড়িয়ে যায়। আনন্দবিহারে তা ছিল ৭৩৬। খুবই খারাপ অবস্থা আইটিও (৫১৬) ও বিমানবন্দর (৫০০) এলাকাতেও। নয়ডা, গুরুগ্রাম, গ্রেটার নয়ডার মতো লাগোয়া এনসিআর শহরগুলিতেও সোমবার অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায় দূষণের মান। দেদার বেআইনি শব্দবাজি ফেটেছে দিল্লি, এনসিআর এলাকায়।

    পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের আশঙ্কা ছিল, দীপাবলির রাতে ভয়াবহ হবে দূষণ পরিস্থিতি। সেই আশঙ্কাও সত্যি হয়েছে। মাত্রাছাড়া আতশবাজি পোড়ানোয় কেন উঠে আসছে সরকারি ‘মদতে’র তত্ত্ব? সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে দিল্লিতে পরিবেশবান্ধব আতশবাজি (গ্রিন ক্র্যাকার্স) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু কীভাবে এই পরিবেশবান্ধব আতশবাজি চিহ্নিত করবেন সাধারণ মানুষ, তার উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিল্লি সরকারের কাছে নেই। অর্থাৎ, পরিবেশবান্ধব আতশবাজির আড়ালে কেউ যদি নিষিদ্ধ শব্দবাজির দেদার ব্যবহার করে, তাহলে তৎক্ষণাৎ তা ধরার কোনও উপায় নেই। বহু ক্ষেত্রেই পরিবেশবান্ধব আতশবাজির জন্য ব্যবহৃত কিউআর কোড ঠিকমতো কাজই করছে না বলেও অভিযোগ। 

    দিল্লি সরকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতাধীন দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে, বেআইনি শব্দবাজির ব্যবহার রুখতে প্রশাসন তৎপর। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। যদিও সামগ্রিক যা পরিস্থিতি, তাতে এই দাবি নিয়ে সংশয়ে রয়েছে আমজনতাই। 
  • Link to this news (বর্তমান)